‘এতটুকু একটা বাচ্চাকে মারতে কত গুলি দরকার! গুলিতে গুলিতে ক্ষতবিক্ষত করেছে ছেলেটাকে ৷ একটা গুলি বুকে লেগে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেছে, আরেকটা গুলি কানের নিচ দিয়ে ঢুকে গলা ভেদ করে বেরিয়ে গেছে, অন্য আরো একটি গুলি বুকে কাধে লেগে মাংস ছিড়ে বেড়িয়ে গেছে… ।’ নাসিব হাসান রিয়ানের বাবা মো. গোলাম রাজ্জাক অঝোরে কাঁদতে কাদতে কথাগুলো বলছিলেন ৷
রিয়ান (১৭) গত ৫ আগস্ট শেষ বিকালে পুলিশের ছোড়া গুলিতে শ্যামলী রিং রোডে নিহত হয় ৷ সে ধানমন্ডি গভ. বয়েজ স্কুল থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করে বিসিআইসি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল।
বাবা গোলাম রাজ্জাক পেশায় একজন কৃষি কর্মকর্তা । তিনি বলেন, অনেক করে নিষেধ করেছি, আন্দোলনে না যেতে ৷ কিন্তু আমাদের না জানিয়ে ছেলে চুপি চুপি চলে যেত । এরপর গত ১৮ জুলাই যখন ওর বন্ধু ফারহান ফাইয়াজ মারা যায়, তারপর থেকে তাকে কোনোভাবেই আর মানানো যাচ্ছিল না। বলে, ‘ভাই-ব্রাদাররা মরে যাচ্ছে, আমি বাচতে চাই না, বাবা; আমিও মরে যাব; আন্দোলনে গিয়ে মরলে মরব।’
আমাকে বলে, ‘বাবা আমার বন্ধু মারা গেছে, বড় ভাইরা মারা যাচ্ছে, আমি আন্দোলনে যাব, তৃমি আমাকে নিষেধ করো না বাবা: মানুষ তো সবাই একদিন মরে যাবে ।’ মা শাম্মী আক্তার বলেন, ‘আমরা জানতাম না কিন্ত ও মিছিলে যেত; এ গ্রুপের সমন্বয়ক ছিল রিয়ান।