বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে টানা কয়েকদিন বন্ধ থাকা ইন্টারনেট পরে চালু হলেও গতি ছিল অত্যন্ত ধীর। এর জন্য তখন সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করেছিলেন। এবার ঠিক একই ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে পাকিস্তানেও।
পাকিস্তানে কয়েকদিন ধরে ইন্টারনেটে চরম ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও সেগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে মানুষজন। এ কারণে ভিপিএন ব্যবহারে ঝুঁকছেন অনেকে। আর দেশটির তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ফাতিমা খাজা এই বিষয়টিকেই ইন্টারনেটে ধীরগতির জন্য দায়ী করেছেন ।
রোববার (১৮ আগস্ট) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি বা ইচ্ছা করে গতিও কমিয়ে দেওয়া হয়নি। ভিপিএন ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার কারণেই ইন্টারনেটের গতি কমে গেছে।
ফাতিমা খাজার দাবি, সরকার নির্দিষ্ট কিছু অ্যাপ ব্লক করে দিলে মানুষজন ভিপিএন ব্যবহার করতে শুরু করে। এটি স্থানীয় ইন্টারনেট সার্ভিসগুলোকে বাইপাস করে এবং গতি ধীর করে দেয়। ভিপিএন ব্যবহার করলে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিও কমে যায় বলে দাবি করেছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধান করতে এবং পাকিস্তানে ইন্টারনেট সেবা উন্নত করতে কাজ করছে সরকার।