সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
সাবেক বিচারপতি মানিকের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. শিশির চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা স্থিতিশীল। মারধরের কারণে একটি অণ্ডকোষ আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর ছিল। পরে দ্রুত অস্ত্রোপচার করা হয়। এখন শারীরিক অবস্থা অনেকটা উন্নতির দিকে।’
এদিকে, অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার দায়ে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাট থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যতিত অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার দায়ে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে।
এরআগে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাটের সীমান্ত থেকে অবৈধভাবে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে পুলিশ। পরদিন ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠায় কানাইঘাট থানা পুলিশ।
পরে আদালতে তোলা হলে সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক আলমগীর হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসময় সাবেক বিচারপতি মানিক নিজেকে অসুস্থ দাবি করলে জেলকোড অনুসারে তাকে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
শনিবার রাতে সিলেট কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তার আঘাতপ্রাপ্ত অণ্ডকোষে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) একটি কেবিনে রাখা হয়েছে তাকে। হাসপাতালে ভর্তি পর তার উন্নত চিকিৎসায় আট সদস্যবিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।