শিক্ষার্থী সমাজ কলকাতায় আলোচিত আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয় ঘেরাও বা ‘নবান্নে চলো’ শীর্ষক মিছিলের ডাক দিয়েছে। সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে কলকাতাজুড়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
শিক্ষার্থীদের মূল দাবি তিনটি। সেগুলো হলো, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পদত্যাগ, আর জি কর কাণ্ডে দোষীদের চরম শাস্তি ও রাজ্যে নারী সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা।
জানা গেছে, শহরের শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ ৬ হাজার সদস্য মোতায়েন করেছে কলকাতা পুলিশ।
৯ আগস্ট কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজে মৌমিতা দেবনাথ নামে ৩১ বছর বয়সী এক নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন। এরপর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো কলকাতা। বিক্ষোভের রেশ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভারতে। রোববার (২৫ আগস্ট) এই ঘটনার বিচার চেয়ে সচিবালয় অভিমুখে মিছিলের ডাক দেন শিক্ষার্থীরা।
কলকাতা পুলিশ বলছে, মিছিল থেকে সহিংস ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে- এমন গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছেন তারা। তাই শহরজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৬ হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ও অন্তত ১৯টি পয়েন্টে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কলকাতার বাইরে হাওড়া শহরেও ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এসব পয়েন্টে ২৬ জন উপ-পুলিশ কমিশনার দায়িত্বে থাকবেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, আজকের প্রতিবাদ কর্মসূচির জন্য শিক্ষার্থীদের অনুমতি দেওয়া হয়নি। হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, কর্মসূচি সংক্রান্ত সব জরুরি তথ্য আগে থেকে পুলিশকে জানাতে হয়। শিক্ষার্থীরা সেটাও করেননি। সচিবালয়ের আশেপাশে এ ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি দেওয়ার নিয়ম নেই। তারপরও শিক্ষার্থীরা যেহেতু কর্মসূচি ডেকেছে, তাই পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে।