রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতাল নামে পরিচিত এই প্রতিষ্ঠানের নিচতলায় ক্যাজুয়ালটি-২ ইউনিটে মোহাম্মদ মনির হোসেন নামের একজন ছাত্র জনতা আন্দোলনকারী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত মোহাম্মদ মনির হোসেন গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকার আলমগীর হাওলাদারের ছেলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণের সময় দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। একাধিকবার অস্ত্রোপচার করা হলেও এখনো শঙ্কা কাটেনি। কবে নাগাদ দুই পায়ে হাঁটতে পারবেন সেই আশায় সময় গুনছেন মনির। আবার সুস্থ হলেও চাকরি পাবেন কি না, আছে সেই দুশ্চিন্তাও। তিনি সুস্থ না হলে পুরো পরিবার যে অথই সাগরে পড়বে, সেই শঙ্কাও ভর করছে মনিরের ওপর।
সোমবার (২৬ আগস্ট) নিটোরে গিয়ে দেখা যায়, এই ইউনিটের ৫৬টি শয্যার সবকটিতেই ছাত্র আন্দোলনে গুরুতর আহতরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। গুলির আঘাতে ছিন্নভিন্ন হওয়ায় তাদের কারও পা কেটে ফেলা হয়েছে। কারও আবার পায়ে রড লাগানো হয়েছে। কারও গুলি লেগে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে হাড়।
কেন আন্দোলনে অংশ নিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মনির বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সবকিছুর দাম বাড়িয়েছে। আমরা কম বেতন দিয়ে চলতে পারি না। এজন্য ওই সরকারের পতন চেয়েছি যেন নতুন সরকার এসে দ্রব্যমূল্যের দাম কমায়। এখন আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। সরকারকে বলবো, আমাকে একটা চাকরি দেন, নইলে পুরো পরিবার না খেয়ে মরবো।’