শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড এস এন করপোরেশনে বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইয়ার্ডের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার অ্যান্ড রিসাইকেলিং অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিএ) সদস্য সচিব নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এস এন করপোরেশন (ইউনিট-২) ও এমটি স্বরাজ্য স্ক্র্যাপ জাহাজের পরিবেশ ছাত্রপত্র স্থগিত করে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যে জাহাজটি ভাঙার সময় বিস্ফোরণ হয়, সেটির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করতেও নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা, যা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তর তুলে ধরেছে।
এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম কেন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না, সে বিষয়ে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জানাতে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
শনিবারের এ ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। আরও সাতজন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি সাতজন হলেন- মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আবুল কাশেম (৩৯), বরকাতুল্লাহ (২৩), আনোয়ার হোসেন (৪৫), খাইরুল ইসলাম (২১), আল আমিন (২৩) ও হাবিব (৩৫)।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, মধ্যরাতে দগ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে আমাদের এখানে আটজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। ভোরের দিকে আহমেদ উল্লাহ নামে একজন মারা যান।
তিনি আরও জানান, দগ্ধদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলমের শরীরের ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেমের শরীরের ৭০ শতাংশ, বরকাতুল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেনের শরীরের ২৫ শতাংশ, খাইরুল ইসলামের শরীরের ৮০ শতাংশ, আল-আমিনের শরীরের ৮০ শতাংশ ও হাবিবের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শনিবার সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি শিপইয়ার্ডে এসএন করপোরেশন নামে কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অগ্নিদগ্ধ ও গুরুতর আহত হন ১২ শ্রমিক।