গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সাব্বির হোসেন (২০) নামের এক তরুণকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে রাকিব ও সাকিবের বিরুদ্ধে। রাকিব সাকিব সম্পর্কে জমজ ভাই বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত জমজ দুই সহোদর রাকিব ও সাকিব উপজেলার সফিপুর এলাকার আব্দুর রহিমের ছেল। সাব্বির আন্ধার মানিক এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে।
আজ সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার সফিপুর পশ্চিমপাড়া বালুর মাঠ এলাকায় ইউনিক টাওয়ারের ছাদে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্ত দুই জমজ ভাই রাকিব ও সাকিব পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই আবির হোসেন বাদী হয়ে আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাকিব, সাকিব এবং সাব্বির একসাথে সফিপুর এলাকার একটি জিম সেন্টারে শারীরিক চর্চা শেষ করে রাকিব ও সাকিবদের বাসা ইউনিক টাওয়ারের ছাদে ওঠে।
সেখানে সঙ্গে ছিল কিরণ ও সোহান নামের দুই কিশোর। পরে রাকিব ও সাকিব কিরণ ও সোহানকে মুড়ি ও দেশলাই আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর কিরণ ও সোহান ফিরে আসার সময় নিচে মানুষের ভিড় দেখতে পায় এবং সেখানে গিয়ে রক্তমাখা অবস্থায় সাব্বিরকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে তারা ছাদে গিয়ে সাব্বিরের কাটা নখ ও রক্তমাখা অস্ত্র পড়ে থাকতে দেখে।
কিন্ত রাকিব ও সাকিবকে সেখানে ছাদে পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা সাব্বিরকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত রাকিব ও সাকিব ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। তাদের (থাকার ঘর) ফ্ল্যাট তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ওই ছাদে গিয়ে একটি মোবাইল ফোন, ধারালো অস্ত্র, মুড়িভর্তি একটি পট এবং একটি বাটি উদ্ধার এবং নিহতের একটি কাটা আঙ্গুল উদ্ধার করে।
পরে হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহম্মেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েচে। এঘটনায় নিহতের বড়ভাই আবির হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম বলেন, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদেন্তর জন্য পাঠানো হয়েচে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’