দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের পর দীঘিনালার পরিস্থিতি এখন শান্ত থাকায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন। তবে যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জনমনে স্বস্তি ফেরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে উপজেলা প্রশাসনও। এলাকার শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখতে সবাইকে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুনুর রশীদ।
এদিকে শুক্রবার সকালে দীঘিনালার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ও খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফীন জুয়েল।
এর আগে বুধবার জেলার নিউজিল্যান্ড এলাকায় গণপিটুনিতে মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় পাহাড়ীরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসত বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে যায় অন্তত ৫০/৬০টি দোকান।
এ ঘটনার পর প্রায় তিনঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট।