পার্বত্য খাগড়াছড়িতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধে স্থবির হয়ে পড়েছে পাহাড়ের জনজীবন। অবরোধে তৃতীয় দিনেও খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। শহর কেন্দ্রিক টমটম ও অটোরিকশা চলাচল করলেও বন্ধ রয়েছে আভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ।
৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মী, সমর্থকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।
সকালে খাগড়াছড়ি সাজেক সড়ক, পানছড়ি, রামগড় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন অবরোধকারীরা। তবে অবরোধকে কেন্দ্র করে এখনও কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।
অবরোধকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের সহিংসতা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা। অবরোধে সহিংসতা এড়াতে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে অবরোধের কারণে সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের এখনো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। সেখানে এক হাজার পাঁচশ পর্যটক আটকে আছেন।
বুধবার জেলার নিউজিল্যান্ড এলাকায় গণপিটুনিতে মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় পাহাড়িরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসত বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে যায় অন্তত ৫০-৬০টি দোকান। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়।