বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু জানতে চেয়েছেন, নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ২ বছর লাগবে কেন? তিনি বলেন, যে জাতি এক মাসের মধ্যে ১৬ বছরের জঞ্জাল শেষ করতে ও তাড়াতে পারে, তাহলে কেন দু’বছর লাগবে নির্বাচন দিতে? আপনি (অন্তর্বর্তী সরকার) পরশুদিন ভোট দেন, দেখবেন চমত্কার নির্বাচন হয়ে গেছে।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচা বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সরকার ছোট কিন্তু দেশের জনগণ অনেক বড়। এটা যদি সরকার মাথায় নেয় তাহলে সকল ঘটনার মীমাংসা তাৎক্ষণিক সম্ভব। কারণ হাসিনা তো দেশে নাই। হাসিনা থাকলে তার পুলিশ থাকবে। হাসিনা থাকলে তার দোসররা থাকে। হাসিনা নাই, সেজন্য খারাপ লোকটাও এখন ভালো হওয়ার চেষ্টা করবে। আর ছাত্র, যুবক ও তরম্নণরা অসাধ্যকে সাধন করেছে। আমরা কেন তাদের ওপর নির্ভর করব না? তারাই নির্বাচনে পাহারা দিবে। দেশের সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
সাবেক সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সংস্কারের কথা হচ্ছে। কিসের সংস্কার? চোরেরা ও লুটেরা যেখানে বসেছিল, সেখানেই বসে আছেন। এদের সরাতে গেলে তো ১৫ বছর লাগবে। তাহলে ১৫ বছর নির্বাচন হবে না? আগে নির্বাচনটা করেন। জনগণ কম বোঝে না। আপনারা রাজনীতি করেননি। আপনাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনাদের ওপর বিশ্বাস ও আস্থা আছে। আপনারা কাজ করেন।
দুদু বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশবাসী বিকল্প প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছেন বলে আমি নিজে মনে করি। কারণ তার ব্যক্তিত্ব, উদারতা, লক্ষ্য, ভবিষ্যত সম্বন্ধে তার ব্যাখ্যা- এটাকে এক কথায় চমত্কার ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। তারেক রহমানকে ঠেকানোর জন্য অনেকে চষ্টো করেছেন। বিএনপিকে শেষ করার জন্য অনেকে চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। দেশবাসী বিএনপিকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
আয়োজক সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক রেজাবু দৌলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদষ্টো আব্দুস সালাম, ড. সুকোমল বড়ুয়া. যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।