২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

টালমাটাল দেশের সোনার বাজার, মিলছে না ক্রেতা

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করে। সবশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করে সোনা ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটি।

সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা। এর সঙ্গে ৫ শতাংশ ভ্যাট ও ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করে সোনার অলংকার বিক্রি হচ্ছে।

বিশ্ববাজারে গত সপ্তাহে এক আউন্স সোনার দাম রেকর্ড ২ হাজার ৬৮২ ডলার পর্যন্ত ওঠে। এরপর দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে (সোমবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত) প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৫৮ ডলার।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক যে প্রেক্ষাপট, তাতে সোনার দাম কখন কোন দিকে যায় কেউ বলতে পারে না। তবে কমার সম্ভাবনা খুবই কম। সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট আছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের হুংকার, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এ পরিস্থিতিতে মানুষ এখন সোনা কেনা নিরাপদ মনে করছে না।’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে সোনার দাম নিয়ন্ত্রণ করে ৩০ জনের মতো। এর মধ্যে আমাদের এশিয়ার আছেন মাত্র একজন। বেশির ভাগ ইসরায়েলের। এখন ইসরায়েলে যুদ্ধ চলছে। সোনার দাম বাড়ার এটি একটি বড় কারণ।’

সোনার বাজার যারা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের নাম কি কখনো প্রকাশ হয়েছে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘না এদের নাম প্রকাশ হয়নি। তবে তাদের বেশির ভাগ ইহুদি এবং ইসরায়েলি।’

দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ায় আপনাদের ব্যবসায় কী ধরনের প্রভাব পড়েছে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যবসায় এত ধস নামছে বলে বোঝানো যাবে না। কোনো দোকানে ক্রেতা নেই। এভাবে চলতে থাকলে অনেকেই ব্যবসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হবেন। সোনার দাম বাড়ার কারণে শুধু বাংলাদেশের সোনার দোকানে বিক্রি কমছে তা নয়, সারা বিশ্বেই কমেছে। দুবাই, সৌদি, বাহরাইন, ইরাক, ইরান, কুয়েত সব জায়গায় সোনার ক্রেতা খুব কম।’

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ভূরাজনীতি বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার একটি কারণ। আর একটি কারণ রিজার্ভ হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সোনা মজুত করা হচ্ছে। এখন সোনার দাম বাড়ার বিশেষ কারণ ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমিয়ে দেওয়া। এ কারণে গত সপ্তাহে সোনার দাম বড় অংকে বেড়েছে। সুদের হার কমানোর সরাসরি প্রভাব পড়ছে সোনার দামের ওপর। এখন টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে।’

দাম বাড়ার কারণে আপনাদের ব্যবসায় কী ধরনের প্রভাব পড়েছে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ব্যবসার পরিস্থিতি খুবই খারাপ। দোকান প্রায় ফাঁকা। আমাদের হিসাবে বিক্রি ৬০-৭০ শতাংশ কমে গেছে। আমরা যেভাবে চলছি, এটাকে চলা বলে না। এটা এক ধরনের স্থবিরতা।’

guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

এই বিভাগের আরও খবর

ফ্রিজ করা ৫০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-বিএফআইইউ ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার পতনের পর প্রায় সাড়ে ৫০০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে । এসব অ্যাকাউন্টে জমা আছে

আগামী রবিবার সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা শপথ নেবেন

অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে প্রধান (সিইসি) করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছে। যার

বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি আজ ঢাকায় আসছেন

চার দিনের সফরে তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করা আমেরিকান কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বৈশ্বিক শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র এবং শ্রমিকদের সর্বোত্তমভাবে কীভাবে সহায়তা করা

মাহফুজ-নাহিদ-আসিফদের খালেদা জিয়ার সঙ্গে কী কথা হলো

অন্তর্বর্তী সরকারের তিন তরুণ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন । সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কথা বলতে দেখা

Scroll to Top