ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর যুগ্ম প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তেহরানের বিরুদ্ধে যদি কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তবে ইসরায়েলের সব অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাবে ইরান।
তিনি বলেন, যদি ইসরায়েল তাদের ‘অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড’ অব্যাহত রাখে বা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কিছু করতে চায়, তাহলে বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতের অভিযান আরও কয়েকগুণ শক্তিশালী হবে ও তাদের সব অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু করা হবে।
বাঘারি আরও বলেন, ইরানের বিশেষায়িত সামরিক শাখা রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করার জন্য প্রস্তুত।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এর মধ্যে কিছু ‘হাইপারসনিক ফাত্তাহ’ ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল, যেগুলোর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০ হাজার মাইল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ হামলার লক্ষ্যবস্তু ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের তিনটি সামরিক ঘাঁটি ছিল বলে জানিয়েছে আইআরজিসি।
ইরানের এ হামলার পর নিজস্ব নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নেতানিয়াহু। বৈঠক শুরুর আগে ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, অনেক বড় ভুল করেছে ইরান। তাদেরকে এই ভুলের গুরুতর ফল ভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। গাজা ও লেবাননে হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরজিসি কমান্ডারদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে স্বীকার করেছে তেহরান।
হামলার পরপরই ইসরায়েরের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরানের হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত আছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বড় ভুল করেছে ইরান। এর চরম মূল্য দিতে হবে।
এদিকে ইরান বলেছে, ইসরায়েল যদি এই হামলার জবাব দেয়, তাহলে আরও হামলা চালানো হবে।