এক দশক পর অবশেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশের মেয়েরা। অন্যদিকে টুর্নামেন্টের হিসেবে ৪টি হলেও ম্যাচের হিসেবে ১৬টি। ।
বৃহস্পতিবার শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১৬ রানে হারিয়েছে নিগার সুলতানার দল।
এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দলের সংগ্রহটা অবশ্য খুব একটা বড় ছিল না। তবে ৭ উইকেটে পাওয়া সেই ১১৯ রানের পুঁজিতেই জয় এনে দেন বোলাররা। রান তাড়ায় নামা স্কটল্যান্ডকে ৭ উইকেটে ১০৩ রানে আটকে দেন রিতু মনিরা।
ওভার প্রতি ৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামা স্কটিশদের বড় পরীক্ষায় ফেলেন রিতু মনিই। ডানহাতি এ মিডিয়াম পেসার ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
বাংলাদেশের বোলিংয়ে সাফল্যের শুরুটা অবশ্য ফাহিমা খাতুনের হাত ধরে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই সাসকিয়া হরলিকে ফেরান তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ক্যাথরিন ব্রাইসকে ফেরান মারুফা আক্তার।
যার ফলে প্রথম ৬ ওভারে ৩১ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে স্কটল্যান্ডের ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে বাংলাদেশ। যা পরের দিকে আরও বেড়েছে।
শেষ পাঁচ ওভারে ৪৮, আর শেষ দুই ওভারে ৩১ রানের সমীকরণ না মেলাতে পেরে ১৬ রানের ব্যবধানেই হারে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা স্কটিশরা।
রিতুর ২ উইকেট ছাড়া ১টি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদা, মারুফা, ফাহিমা ও রাবেয়া।
এর মধ্যে ক্যাথারিন ফ্রেসারকে আউট করে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন নাহিদা। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে এটিই প্রথম কীর্তি। সব মিলিয়ে মেয়েদের ক্রিকেটে ১৪তম।
এর আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংটা অবশ্য মন মতো হয়নি। স্কটিশ ফিল্ডারদের একাধিক ক্যাচ মিস ও মিসফিল্ডের পরও সুযোগ নিতে পারেননি টাইগ্রেসরা। উদ্বোধনী জুটিতে সাথি রানী ও মুরশিদা খাতুন ২৬ রান তোলার পর দ্বিতীয় উইকেটে সাথি ও সোবহানা মোশতারি যোগ করেন ৪২ রান। বাংলাদেশের ইনিংসে এ দুটিই ছিল বড় জুটি।
স্কটিশদের হারানোর আগে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বশেষ জিতেছিল ২০১৪ সালে। সেবার সিলেটে নবম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১৭ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর টানা চার আসরে ১৬ ম্যাচে মাঠ ছাড়তে হয়েছে হার নিয়েই।