শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন ৯টি গার্মেন্টস গত ২ বছরে ৬২৩ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করলেও সেই টাকা দেশে আনেনি।
কাস্টমস আইনে পণ্য চালান জাহাজীকরণের ১২০ দিনের মধ্যে অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্ধিত সময়ের মধ্যে পণ্যের রপ্তানি মূল্য প্রত্যাবাসিত হওয়া এবং এর সপক্ষে প্রতিষ্ঠানের লিয়েন ব্যাংকে পিআরসি (প্রসিড রিয়েলাইজেশন সার্টিফিকেট) জারির বিধান রয়েছে। অথচ বেক্সিমকো সহ ৯৯টি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ৯২০ কোটি টাকা (এক ডলার ১১৮ টাকা ধরে) দেশে আনেনি।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা উত্তর বন্ড কমিশনারেট থেকে এনবিআরে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, গত এক বছরে ২০৩টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ১৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলার ওভার ডিউ-এর বিপরীতে সময়ে সময়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। এর মধ্যে ১০৪টি প্রতিষ্ঠানের রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসিত হয়েছে, যা প্রায় ৮ কোটি ডলার।
অবশিষ্ট ৯৯টি প্রতিষ্ঠান ৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলার অপ্রত্যাবাসিত হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯২০ কোটি টাকা। এক কোটি টাকার বেশি ওভারডিউ আছে-এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩২টি। এসব প্রতিষ্ঠান মানি লন্ডারিং বা অর্থ পাচারসংশ্লিষ্ট কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও শেয়ারহোল্ডাররা আয়কর ফাঁকি দিয়েছে কি না, তা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের মাধ্যমে তদন্তের পরামর্শ দেওয়া হয় চিঠিতে।
বেক্সিমকো গ্রুপের যেসব প্রতিষ্ঠানের টাকা দেশে আসেনি, সেগুলো হচ্ছে-নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রির ২৫ লাখ ২৬ হাজার, ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়্যার অ্যান্ড অ্যাপারেলসের ২০ কোটি ৯৬ লাখ, বেক্সটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেডের ২২৪ কোটি ৫৫ লাখ, অ্যাপোলো অ্যাপারেলস লিমিটেডের ২৭১ কোটি ৭১ লাখ, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেডের ৮৯ লাখ ১৬ হাজার, আরবার ফ্যাশনের ১ কোটি ৪২ লাখ, ইসেস ফ্যাশনস লিমিটেডের ৪৫ কোটি ১০ লাখ, পিরলেস গার্মেন্টস ২৩ কোটি ৫৮ লাখ এবং কাঁচপুর অ্যাপারেল লিমিটেড ৩৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা।