যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজের সামনে স্যামুয়েল মেনা জুনিয়র নামের এক ফিলিস্তিনপন্থি এক ফটোসাংবাদিক নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মাহুতির চেষ্টা করেছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (৫ অক্টোবর) এ ঘটনা ঘটে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শনিবার ওয়াশিংটন থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস পর্যন্ত বিভিন্ন শহরে রাস্তায় নেমে আসেন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকী সামনে রেখে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির দাবি তোলেন তারা।
বিক্ষোভ চলাকালীনই হোয়াইট হাউজের সামনে ফটোসাংবাদিক স্যামুয়েল আত্মাহুতির চেষ্টা করেন। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবিরোধীর দাবিতে হওয়া আন্দোলনের অংশ হিসেবেই তিনি নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি।
প্রতিবাদকারীরা ফিলিস্তিন ও লেবাননের পতাকা নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন ও স্লোগান দিচ্ছিলেন ফিলিস্তিনের অধিকারের পক্ষে। এই বিক্ষোভের দুই ঘণ্টা পর এক ব্যক্তি হঠাৎই আত্মাহুতির চেষ্টা করেন। তিনি তার বাঁ হাতে আগুন ধরানোর পরপরই আশেপাশের লোকজন পানি ঢেলে সেই আগুন নিভিয়ে দেন। এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে চিৎকার করে বলেন, আমি একজন সাংবাদিক, আমরাই ভুল তথ্য ছড়াই।
তিনি মূলত সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য সাংবাদিকদের দোষারোপ করেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করে ও ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা জোরদার করে।
তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তার আঘাত প্রাণঘাতী নয়। স্থানীয় পুলিশও জানায়, ওই ব্যক্তির আঘাত প্রাণঘাতী নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্যামুয়েল মেনা জুনিয়র সিবিএসের সঙ্গে যুক্ত একজন সাংবাদিক ও তিনি মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্য ওই সংবাদমাধ্যমকে দোষারোপ করছিলেন।
এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আগেও গত ফেব্রুয়ারি মাসে অ্যারন বুশনেল ওয়াশিংটনে ইসরাইলি দূতাবাসের বাইরে আত্মাহুতি দেন। যা ছিল গাজার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির প্রতি ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের প্রতিফলন।
যুক্তরাষ্ট্রে এ নিয়ে চারজন ব্যক্তি গাজায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আত্মাহুতির চেষ্টা করেছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে এক ব্যক্তি আটলান্টার ইসরাইলি কনস্যুলেটের সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে আত্মাহুতির চেষ্টা করেন এবং মারাত্মকভাবে আহত হন।