সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আগামী ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। শুভ মহালয়ায় দেবীর আবাহন শেষে এখন মন্ডপে-মন্ডপে দেবী বরণের প্রস্তুতি চলছে। কৈলাশ থেকে মর্ত্যলোকে আসবেন দেবী দুর্গা। এই উৎসব ঘিরে, সারাদেশের মন্ডপে-মন্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রতিমা তৈরিতে মাটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন রং-তুলির আঁচড় শেষে প্রতিমা মন্ডপে নেওয়ার অপেক্ষায় সবাই। তাই ব্যস্ততায় দিন-রাত এক করে ফেলছেন প্রতিমাশিল্পীরা। দম ফেলার সময় নেই প্রতিমা শিল্পী ও আয়োজকদের।
আর দু’দিন পরেই সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আগামী ৯ অক্টোবরে মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে ৪৬৪ টি মন্ডপে শুরু হবে দুর্গাপূজা।
এদিকে পূজায় মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে, সাজসজ্জায় নানা উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন মন্দিরে এখন চলছে থিমভিত্তিক সাজসজ্জার কাজ। সারাদেশে বইছে উৎসবের আমেজ। সায়ংকালে ধূপের ধোঁয়া, ঢাক-ঢোল, উলুধ্বনি আর কাঁসর-মন্দিরার সঙ্গে ভক্তিমন্ত্রে মেতে উঠবে পূজামন্ডপ।
লালমনিরহাট মোট ৪৬১ টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষের দিকে, শিল্পীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন রং তুলির আঁচড়ে সৌন্দর্যবর্ধনে। জেলায় মোট ৫টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫৮ টি আদিতমারী, ১১০ টি কালিগঞ্জে ৭১ হাতীবান্ধায় ৯৩ ও পাটগ্রামে ২৯ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে বলে জানাগেছ।
হাতীবান্ধা উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়াইপাড়া কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি তমাল কান্তী রায় জানান, আমরা অধীর আগ্রহে আছি মায়ের শ্রীপাদপদে পুষ্পাঞ্জলীর দেবার জন্য। এবারে পুজা উদযাপনে সবার সহযোগীতা কামনা করছি।
লালমনিরহাট জেলায় দূর্গাতিনামিনী ‘মা’ দেবীদূর্গার বোধনের মধ্য দিয়ে আগামী বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হয়ে শনিবার (১২ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে তা সমাপ্তি ঘঠবে ইতিমধ্যে পূজার যে আমের সেটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে শুরু হয়েছে, মন্ডপ মুলুকগুলোতে কাদা মাটি এর কাজ শেষ হয়েছ এখন রং এবং প্রতিমা সাজানোর কাজ চলছে ইতিমধ্যে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং করেছি তারা আমাদেরকে জানিয়েছেন যে পূজার নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকবে। আশা করি সকলের সহযোগিতায় এবারের পূজাটা আমরা সম্পূর্ণ করতে পারবো। এবারে ‘মা’ দেবীদূর্গার দোলায় আগমন করবেন এবং ঘোটকে করে চলে যাবেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানা ওসি মাহামুদু নবী বলেন, পুজা উদযাপনে আমাদের পুলিশ বাহীনির পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও থাকবে। যাতে করে পুজায় কোন প্রকার সমস্যা না হয় সেজন্য অতিরিক্ত টহলটীম রাখা সহ প্রত্যক ইউনিয়নে বিড অফিসারও থাকবে পাশাপাশি আমি নিজেও যাচ্ছি।
এ বিষয়ে লালমনিহাট জেলা পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সকল ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই সাথে মোবাইল টিম কাজ করবে। আমরা এখন থেকেই পূজা মন্ডপ ও যেসব জায়গায় গুলোতে প্রতিমা গুলো তৈরি হচ্ছে সেই জায়গাগুলোতে নজরদারিতে রাখছি। তিনি আরো বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে সংখ্যার কোন কারণ নেই শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গা পূজা শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি।
রুমন হোসেন জিলহজ্ব
লালমনিরহাট জেলা বিশেষ প্রতিনিধি