সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মরদেহ আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কবর থেকে তোলা হচ্ছে। পুলিশ সাভার মডেল থানার জামিনে খাতামুন নবীঈনের জামিয়া খাতামুন কবরস্থানে তার মরদেহ উত্তোলন করেছে।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। মরদেহ তোলায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
বাবার মৃত্যুর এ ধোঁয়াশা কাটাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন হারিছ চৌধুরীর মেয়ে। সব শুনে তার পরিচয় নিশ্চিত করতে ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে ৮ অক্টোবর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়।
গণমাধ্যমে খবর আসে, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মারা গেছেন হারিছ চৌধুরী। তিনি পান্থপথের একটি বাসায় মাহমুদুল হাসান নামে বসবাস করতেন। সাভারের একটি মাদ্রাসার কবরস্থানে মাহমুদুল হাসান নামেই দাফন করা হয় তার মরদেহ।
মেয়ে সামিরার দাবি, বাবার মৃত্যুর পরও জীবিত দেখাতে ওঠেপড়ে লাগে একটি মহল। এসব কারণে সামাজিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় তার পরিবারকে। হারিছ চৌধুরীর মেয়ে জানান, তার বাবা আত্মগোপনে থাকার সময় নানা রকম নির্যাতনের মধ্যদিয়ে যেতে হয়েছে তার পরিবারকে।
আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী বলেন, হারিছ চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সে কারণে যথাযথ পরিচয়ে প্রাপ্য সম্মান দিয়ে তাকে দাফন করা উচিত।
হারিছ চৌধুরী ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবও। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় আত্মগোপনে চলে যান প্রভাবশালী এ নেতা। তিনি কোথায়, ২০২১ সাল পর্যন্ত এ নিয়ে চলতে থাকে নানা আলোচনা। বছর দুয়েক আগে গণমাধ্যমে খবর আসে, হারিছ চৌধুরী দেশেই আছেন, তবে রয়েছেন আত্মগোপনে।