বাংলাদেশের জাতীয় দলের হেড কোচের পদ থেকে চন্ডিকা হাথুরুসিংহকেদক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের আগেই বরখাস্ত করা হয়েছে। মূলত অসদাচরণের জন্যই হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহেকে শোকজ এবং সাসপেন্ড করার ঘোষণা দেন বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি জানান হাথুরুসিংহের শাস্তি আরও আগে হওয়া উচিত ছিল।
বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘বরখাস্ত করার আগে আমরা তাকে নিয়ম মেনে শোকজ নোটিশ করেছি। ৪৮ ঘণ্টার জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাকে। এরপর আমরা বরখাস্ত করব।’
মূলত অসদাচরণের জন্যই হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করা হয়। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলার সময়ে ক্রিকেটার নাসুম আহমেদকে চড় মারা বা শারীরিক লাঞ্ছিত করার যে অভিযোগ হাথুরুর বিরুদ্ধে, সেটার প্রমাণ তারা পেয়েছেন। ফারুক বলেন, ‘আমরা মানুষ। হিট অব দ্য মোমেন্টে অনেক কিছু হতেই পারে। তবে একজন জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে আপনি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে পারেন না। সে কারণে যে শাস্তি পেতে হয়, সেটাই হচ্ছে (ছাঁটাই)। এটা আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। এখন হয়েছে, আমি খুশি।’
হাথুরুকে ছাঁটাই করতে আইনগত দিক খুঁটিয়ে দেখতে হয়েছে বিসিবিকে। হাথুরুকে বরখাস্ত করতে বিসিবির সুবিধা হয়েছে তার অতিরিক্ত ছুটি ভোগের কারণে। বিসিবিকে না জানিয়ে বছরে তার পাওনা ৪০ দিনের বেশি সময় কাটিয়েছেন হাথুরু। ফারুক বলছেন, ‘একজনের অসদাচরণের বিরুদ্ধে নোটিশ দেয়ার কিছু নেই। সে যে সময় ছুটি কাটিয়েছে, সেটা ৩ মাসের বেশি। ওটাও অসদাচরণের অংশ। বিচ্ছিন্নভাবে তিনি ই-মেইলে জানিয়েছেন, তবে সেটা তিন মাসের বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। আপনার জবাবদিহি থাকতে হবে। এখানে নিয়ম ভেঙেছেন, আমরা জানিয়েছি যে খেলোয়াড়ের সঙ্গে তার অসদাচরণ এবং একজন কর্মী হিসেবে নিজের অসদাচরণ।’
বিসিবি সভাপতি বললেন, ‘একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আমার খারাপ লেগেছে। জাতীয় দলের ক্রিকেটার দেশের গৌরব, ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে। ওই নামটা আর না নিই, ওটা ছিল কোচের অসদাচরণ। ভিকটিম, প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছি। প্রত্যক্ষদর্শীরও রিপোর্ট ছিল। তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে আমি অনেক কাজ করেছি।’