সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
দেশের অন্যান্য সীমান্ত জেলা গুলোর মধ্যে চোরাচালানের জন্য অন্যতম সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা সীমান্ত। এ উপজেলায় অভয়ারণ্যে ভারতীয় চোরাচালানের ব্যবসা করা যায়।উপজেলার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে শতাধিক সমতল চোরাই রাস্তা থাকার কারণে সীমান্ত অপরাধ ও চোরাচালানের জন্য অন্যতম সীমান্ত হচ্ছে গোয়াইনঘাট উপজেলা। এই উপজেলার থানায় যেকোনো পুলিশ সদস্য আসলেই কপাল খুলে যায় চোরাচালানের কালো টাকায়।গোয়াইনঘাট থানার ওসি থেকে শুরু করে এ থানার কনস্টেবল পর্যন্ত জড়িয়ে পড়েন অবৈধভাবে রুটি-রুজির ধান্ধায়।আওয়ামিলীগ সরকারের পতনের পর এই উপজেলায় শুধু রদবদল হয়েছে কিন্তুু বৈষম দূর হয় নি,৫ তারিখের পর এই উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলেও জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত এক সাব ইন্সপেক্টর জানান,দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই থানার কেউ কারো কমেন্টমেন্ট ফলো করছেন না।যে যার মতো করেই চোরাচালানের লাইন দিচ্ছেন।চেকপোস্টে যে সমস্ত এএসআই ডিউটি করেন! তারা সকাল ৮:০০থেকে রাত ৮:০০ পর্যন্ত সেখানকার ম্যাজিস্ট্রেট। বড় অঙ্কের টাকা আদায় করে ছেড়ে দেন দৈনিক শত শত ভারতীয় চিনি,কসমেটিকস,গরু মহিষ,মাদক,মোটরসাইকেল সহ্ ভারতীয় নানা পণ্য। সিনিয়ররা ভাগ পেলে ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানেন না বলে ভাবভঙ্গিতে বুঝা যায়।এ থানায় কোন অফিসার ফোর্স এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করলে সাথে সাথে বদলি আদেশ ধরিয়ে দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন সরিষা ক্ষেতে ভূত থাকলে তাড়ানোর বিকল্প ওষুধই হচ্ছে একমাত্র গণমাধ্যম।গণমাধ্যম ছাড়া আমাদের অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করলেই সিনিয়রদের কাছে আমাদের হয়রানির শিকার হতে হয়।
গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন ব্যবসায়িদের সাথে কথা বলেও উপরোক্ত তথ্যের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়,পুলিশকে টাকা দিলেই গন্তব্য স্থানে নিরাপদে পৌছে যাচ্ছে তাঁদের চোরাচালান। এ যেনো এক মগেরমুলুক এবং অভয়ারণ্যের লুটপাট জবাবদিহির খাতায় ঝুলছে তালা।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাটের সহকারী পুলিশ সুপার মো.সাহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ক্রাইম কনফারেন্স মিটিংয়ে আছি এখন কিছু বলতে পারছি না