বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনের কবর জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়া স্ত্রীর যেমন ডিভোর্স লেটার লাগে না, ঠিক তেমনই পালিয়ে যাওয়া নেত্রীরও পদত্যাগপত্রের প্রয়োজন হয় না। শিক্ষাজীবনে ছাত্রলীগ করা রাষ্ট্রপতি পলাতক শেখ হাসিনাকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করছেন।’
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা তাদের কালোটাকা ও বেআইনি অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। তারা মহড়া দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের কাছে রাজনীতি ছিল মাফিয়াতন্ত্র ও হরিলুটের আসর।’
তিনি বলেন,‘মানুষ না খেয়ে থাকে এমন যেন না হয়। মানুষ যেন দুমুঠো খেতে পারে। এজন্য বাজার সিন্ডিকেট ও মার্কেট সিন্ডিকেট এতদিন ধরে যারা নিয়ন্ত্রণ করে আসছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আমরা অল্পকিছু ড্রাইভ দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু ব্যাপক ড্রাইভ দেখতে পাচ্ছি না।’
‘গণতন্ত্র তো হলো শান্তির পথে মানুষ যেন বসবাস করতে পারে এবং খোলা গলায় যেন সমালোচনা করতে পারে, কথা বলতে পারে- এটাই তো গণতন্ত্র। আইনের শাসন থাকবে, কে কোন দল করে সেটা বড় কথা নয়। যে অন্যায় করবে তাকেই পুলিশ ধরবে, এটাই গণতন্ত্র।’ বলেন রিজভী।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন না, নির্বাচন গণতন্ত্রের একটি উপাদান। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন একটি উপাদান। সেখানেও একটি জটিলতা দেখছি। আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি করুন, যেন মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দমতো ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন গোলাগুলি করেছে। আওয়ামী লীগের লোকজন জন-অরণ্যের মধ্যে লুকিয়ে থেকে প্রয়োজনমতো বের হয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করবে। যে কারণে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি বারবার চাপ দিয়ে আসছে। যদি ফ্যাসিবাদের পুনর্জীবন ঘটে তাহলে এর দায় তাদের নিতে হবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের এতদিন পার হলেও বেআইনি কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারছেন না।’