আগামী বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে টঙ্গীর তুরাগ তীরে ঐতিহ্যবাহী বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে পারে। গত কয়েক বছর দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হলেও সরকার এবার তা একত্রে করতে চায় । এরই মধ্যে সরকারের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, কয়েক বছর ধরে ইজতেমা দুই ভাগ হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে মতেরও কিছুটা ভিন্নতা আছে। আমরা তাদের সঙ্গে বসবো। কীভাবে বিশ্ব ইজতেমা একসঙ্গে করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবো। যেন খুব ভালোভাবে ইজতেমা আয়োজন করতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা তাদের (উভয়পক্ষ) কাছে অনুরোধ করবো, আপনারা নিজেদের মধ্যে যে সমস্যা আছে সেটা যদি নিজেরাই সমাধান করতে পারেন তাহলে ভালো হয়। আর যদি নিজেরা সমাধান করতে না পারেন আমরা আপনাদের সঙ্গে বসবো। কীভাবে উভয়পক্ষের সমস্যা সমাধান করে বিশ্ব ইজতেমা একটা করা যায় সেই চেষ্টা করবো।
তাবলিগ জামাতের বিরোধের কারণে কয়েক বছর ধরে দুই পর্বে হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। সবশেষ গত বছরও প্রথম পর্বে শুরায়ে নিজাম অনুসারী মুসল্লিরা এবং দ্বিতীয় পর্বে নিজামুদ্দিন অনুসারী মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন।
গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতে তা শেষ হয়। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ১১ ফেব্রুয়ারি।
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমা। দেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি তুরাগ তীরে ইজতেমায় অংশ নেন। এছাড়া সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, কাতার ও আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের অসংখ্য মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিতে আসেন।