হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌর শহরে সাত্তার মিয়া (৩২) নামে এক যুবক বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ওই এলাকার মিয়াব আলীর ছেলে।
মিয়াব আলী জানান, তার ছেলে সাত্তার প্রায় ৮ বছর আগে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। বছর দুয়েক আগে থেকে সে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বাসার লোকজনকে মারপিট ও ভাঙচুর করে। প্রায় এক বছর আগে মারপিট করে তার স্ত্রী জোৎস্না বেগমের হাত ভেঙে দেয়। দুই শিশু পুত্রকে মাটিতে চাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায়। অত্যাচার সইতে না পেরে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর থেকে সাত্তার অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, বুধবার বিকেলে সাত্তার উত্তেজিত হয়ে উশৃঙ্খল আচরণ শুরু করে। এক পর্যায়ে একটি ধারালো টিনের সিট নিয়ে মালাকারপাড়া এলাকায় গিয়ে নিজের গলা কাটতে থাকে। উৎসুক জনতা নিবৃত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। খবর পেয়ে মাধবপুর থানার এসআই সাইদুর রহমান পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার হাত থেকে জনতার সহযোগিতায় টিনের ধারালো টুকরোটি উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সাত্তারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সাত্তারের মৃত্যু হয় বলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক জানান।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।