ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে লাঠি হাতে ঢুকে পড়া সেই যুবক যুবায়ের ইলাহিকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করে স্থানীয় থানা পুলিশ। পরে তাকে ঢাকার কোতোয়ালি থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের দাবি ৮ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, ঘটনার পর পর যুবায়ের তার দেশের বাড়ি কিশোরগঞ্জ চলে আসে। পরে তাকে গতকাল বিকেলে কিশোরগঞ্জের শহরের গাইটালের বাসা থেকে আটক করা হয়।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে যুবায়ের ইলাহি পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের লেকচার রুমে হাতে লাঠি ও মাথায় কালো কাপড় পরা অবস্থায় ঢুকে পড়েন। তখনও ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও লাঠিহাতে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়া যুবায়ের ইলাহিকে মানসিক রোগী বলে জানিয়েছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রলাপ বকার পাশাপাশি লাঠি দিয়ে মেঝেতে আঘাত করতে থাকেন যুবায়ের এবং শিক্ষার্থীদের ধাওয়াও করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ওই যুবককে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যান দায়িত্বে থাকা স্টাফরা।
আটক যুবায়ের ইলাহি কিশোরগঞ্জ সদরের গাইটাল গ্রামের মো. সুলতান মিয়ার ছেলে। তিনি গুরুদয়াল সরকারি কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আটক যুবায়ের ইলাহির বড় ভাই তৌহিদ ইলাহি জানান, ২০১৬ সাল থেকে যুবায়ের মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে নিয়মিতই চিকিৎসা করানো হচ্ছে। সে পরিবারের কাউকে কিছু না বলে ২৬ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে শুনেছি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ক্লাসরুমে গিয়ে পাগলামি করেছে। আবার ২৭ তারিখ রাতেই বাড়িতে চলে আসে। পরে সোমবার বিকেলে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে আটক করেছে। আমি তার মানসিক সমস্যার কাগজপত্র নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি।