আজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৬০তম জন্মদিন । তিনি ১৯৬৫ সালের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন । তারেক রহমান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে । ২২ বছর বয়সে ১৯৮৮ সালে বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য হন তিনি।
আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনে যোগ দেওয়ার আগেই তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারেক রহমান তার মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সারা দেশে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও মায়ের পাশাপাশি তারেক রহমান দেশব্যাপী নির্বাচনি প্রচার চালান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০২ সালে তারেক রহমানকে দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২০১৬ সালে ৬ষ্ঠ কাউন্সিলেও তারেক রহমান সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলায় কারাগারে পাঠালে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
তারেক রহমান ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান, সাবেক যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের মেয়ে ডা. জুবাইদা রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
তাদের একমাত্র মেয়ে জায়মা রহমান সম্প্রতি লন্ডনের কুইনমেরি ইউনিভার্সিটি থেকে আইন শাস্ত্রে ল’ ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে যুক্তরাজ্য থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন তারেক রহমান।
সেখান থেকে সব সময় ভার্চুয়ালি দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন, নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের গত প্রায় ১৬ বছর বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা, খুন-গুম-নির্যাতন সত্ত্বে তারেক রহমানের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার কারণে দল ছিল ঐক্যবদ্ধ।
৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের উৎখাতের পর তিনি জাতীয় ঐক্য গঠনের প্রয়াস চালাচ্ছেন। বিভিন্ন বক্তব্যে তিনি ঐক্যের বার্তা দিচ্ছেন, পেশিশক্তির উত্থানের পরিবর্তে জনমানুষের পক্ষে কাজ করে জনসমর্থন সৃষ্টির বার্তা দিচ্ছেন।