মুবাশশির আলম রাহুল, জামালপুরঃ
জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ের সাবেক মেয়র এর অবহেলার কারনে ৩২টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় ২ বছর ০৯ মাসেও সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়নি পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশন Package No Jamalpur/Purta-55, Tender Id-660273). মূলে দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে (TURN. Prop: C.M Nahid Al Hasan, 29,RING ROAD, HOLDING – 6/1/A, SHYAMOLI, DHAKA-1207, ,এবং কার্যাদেশ মূল্য 7,04,85,109.315 টাকা) Construction of Integrated Faecal Sludge and Solid Waste Management Plant at Dewangonj Pourashava under Water supply & Environmental Sanitation including Faecal Sludge Management Project in 32 Pourashava কাজের জন্য ঠিকাচুক্তি সম্পন্ন হয়।
কিন্তু ঠিকাচুক্তিতে ২৫/০৫/২০২৩ কাজ সমাপ্তির কথা থাকলেও আজও সমাপ্তি হয়নি এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর, দেওয়ানগঞ্জ এর সহকারী প্রকৌশলী (চ. দা.) মো: মাজেদুর রহমান দৈনিক আমার বাংলাদেশ কে তিনি সংশ্লিষ্ট কাজের বিষয়ে আলোচনা করতে গড়িমসি করেন এবং বিভিন্ন দিকে এড়িয়ে যান।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং ঠিকাদার এবং স্থানীয় জনগনের মাধ্যমে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট মো: মাজেদুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী, বিগত ২০১৬ হতে ২০২৪ ইং পর্যন্ত জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জামালপুর সদর উপজেলায় কর্মরত ছিলেন এবং তৎকালীন আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী জনাব মির্জা আজম, এমপি এর সহচরে থেকে এমনকি জনাব মির্জা আজম, এমপি এর স্ত্রী নামে জামালপুর পৌরসভার বগাবাইদ বোর্ডঘর এলাকায় অবস্থিত আলেয়া গার্ডেন নামে যে বাড়ীটা করা হয়েছিল, সেই বাড়ীটা সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী নিজে ড্রইং ডিজাইন করে স্থাপন করেন।
অন্যদিকে তিনি সরকারী চাকুরীর পাশাপাশি তিনি আলেয়া গার্ডেন এ চাকুরী করতেন, সেই সুবাধে তিনি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে মির্জা আজম, এমপি এর দোহায় দিয়ে এবং তাহার এমপির পাওয়ার দেখিয়ে চাকুরী করে আসছেন।
এছাড়া ঠিকাদারবৃন্দ এবং বিভিন্ন স্থানীয় জনগন আরোও জানান যে, তিনি জামালপুর সদর উপজেলায় যে সকল বরাদ্দ পাওয়া যাইত, দরপত্র আহবান হয়ে ঠিকাদার নিযুক্ত হতো, সেই সকল ঠিকাদারদের সাথে সমন্বয় করে বিভিন্ন কাজ বাস্তবায়ন করতেন এবং ঠিকাদারদের সাথে পার্টনারে কাজ করে কোটি কোটি টাকা অর্জন করেন। অন্যদিকে জামালপর অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্প হতে ঠিকাদারের কাছ থেকে তাহার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে অতিরিক্ত টাকা বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে ঠিকাদারের কাছ থেকে অধিক পরিমান অর্থ আদায় করে থাকেন।
সংশ্লিষ্ট ডাম্পিং স্টেশন কাজের বিষয় তিনি কোন জবাব দিতে রাজি নন মর্মে বিভিন্ন মুখী সন্দেহ সৃষ্টি হয়।