মোঃ শেখ সাদী, শেরপুর প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের নকলায় পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করেন পাশের এলাকার দর্শক আশিক (২০) সহ ৩-৪ জন । ওই ঘটনায় ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে কিশোরীর মা বাদী হয়ে আশিক মিয়া (২০) নামে এক যুবকসহ ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আশিক উপজেলার টালকী ইউনিয়নের শালুয়া গ্রামের আবু সাইদের ছেলে। আর ওই কিশোরী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। তার বাবা একজন দিনমজুর। এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পাঠাকাটা গ্রামে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও কিশোরীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় তার দাদার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী। বাড়ি ফিরতে দেরী হওয়ায় পরিবারের লোকজন কিশোরীকে খুঁজতে বের হয়। পরে বাড়ির পাশে ভুট্টা খেতে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় ওই কিশোরীকে। ওই সময় মামলার আসামি বখাটে যুবক আশিকসহ আরও ৩/৪ জন পালিয়ে যায়।
পরে কিশোরীকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ওই কিশোরী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, সন্ধ্যায় পাশের দাদার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার পথে বখাটে আশিক (২০) সহ তার ৩_৪ জন মিলে কিশোরীকে তুলে নিয়ে পাশের ভুট্টাখেতে গণধর্ষণ করেছে।পরে ওই ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পরে আজকে ২৩ ফেব্রুয়ারী নকলা থানা ঘেরাও করে দর্শকের দ্রুত গ্রেফতার ও দর্শকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসি দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন ছাত্রদল ও সাধারণ ছাত্রজনতা মিলে ।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা নকলা থানার দায়িত্বরত সার্কেল অফিসার মোঃ রেজাউল করিম
নকলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অফিসার আবুল কাশেম কাছে তদন্তভার তুলে দেন।
আর দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার এবং কিশোরী ও তার পরিবারকে প্রয়োজনীয় আইনী সহায়তা আশ্বাস দেন ।