মাহমুদুর রহমান নাঈম, ঢাকা প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর আলোচিত প্রতিষ্ঠান সাদিক অ্যাগ্রো-এর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ১৩৩ কোটি টাকা পাচারের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সোমবার দুপুরে সিআইডির একটি দায়িত্বশীল সূত্র তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেন, “সিআইডির একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করতে গেছে।”
১৩৩ কোটি টাকা পাচার: কী জানা গেছে?
সাদিক অ্যাগ্রো দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠে, যা তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি বড় অঙ্কের অর্থ পাচারের তথ্য পায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, ইমরান হোসেন অবৈধভাবে ১৩৩ কোটি টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছেন, যা মানি লন্ডারিং আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তদন্তের স্বার্থে সিআইডি এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে।
তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর ইমরান হোসেনকে আদালতে হাজির করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হতে পারে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, তার কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে, যা অর্থ পাচারের অন্যান্য দিক উন্মোচন করবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এই মামলায় আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে এবং তাদের চিহ্নিত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ব্যবসায়িক মহলে প্রতিক্রিয়া
ইমরান হোসেনের গ্রেপ্তারের খবরে ব্যবসায়িক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে অ্যাগ্রো ও কৃষিভিত্তিক খাতের ব্যবসায়ীরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, “যদি সত্যিই তিনি অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে এটি কৃষিভিত্তিক শিল্পের জন্য বড় ধাক্কা হবে। তবে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া জরুরি।”
শেষ কথা
সাদিক অ্যাগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অর্থ পাচারের অভিযোগ কতটা সত্য, তা নির্ধারণ করবে আদালত ও তদন্তকারী সংস্থাগুলো। তবে এত বড় অঙ্কের অর্থ পাচারের ঘটনা দেশের অর্থনৈতিক খাতের জন্য উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই মামলার তদন্তে আরও তথ্য পাওয়া গেলে দ্রুত তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানানো হবে।