আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রোজার মাস দিয়েছেন রহমত, মাগফেরাত, বরকত ,বান্দার জন্য নাজাত কে উছিলা করে এই মাসটি দিয়েছেন।এই রোজা হল সত্যি ধনী-গরীবের পার্থক্য নির্ণয়ের মাপকাঠি, কেননা একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি কখনো বুঝতে পারবে না গরিবের দুঃখ কষ্ট ক্ষুধার যন্ত্রনা! তাইতো আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যিনি পরম করুনাময় অতি দয়ালু যিনি আমাদের কে অতি মায়া আদর ভালোবাসা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন সেই স্রষ্টা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে বছরে একটি রমজান দিয়েছেন , সে মাসটি হলো মাহে রামাদান,যে মাসে আমরা সারাদিন অভুক্ত থেকে সন্ধ্যায় পানাহার করি! এতে করে পরিষ্কার বুঝা যায়, আমরা যে সারাদিন সমস্ত ধরনের সংযম করলাম,আমরা এখান থেকে কি শিখতে পেরেছি, আমরা সারাদিন অভুক্ত থাকার ফলে এটাই শিখতে পেরেছি, একজন অভুক্ত দরিদ্র অসহায় ব্যক্তি সারাদিন না খেয়ে থাকলে কেমন বোধ করে, সেই জন্য মাহে রমাদান রাব্বুল আলামীন দিয়েছেন। দরিদ্রদের কষ্ট বুঝার জন্য ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কে! তাই’ত আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনুল কারীমে বলেন আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারার (১৮৩ নম্বর) আয়াতে বলেছেন, হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর রোজার ফরজ করে দেওয়া হলো, যেমন ভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে করে তোমরা তাকওয়া বা আল্লাহ ভীরুতা অবলম্বন করতে পারো।
সুরা বাকারার( ১৮৪ নম্বর) আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, আর যারা রোজা রাখার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও রোজা রাখতে চায় না (যারা রোজা রাখতে অক্ষম), তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্য দান করবে। পরন্তু যে ব্যক্তি খুশির সঙ্গে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণকর হয়। আর যদি তোমরা রোজা রাখ, তাহলে তা তোমাদের জন্য বিশেষ কল্যাণের; যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।
কোরআনুল কারিমে সুরা বাকারার (১৮৫) নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, রমজান মাস। এ মাস পেলেই মুমিন মুসলমানের জন্য রোজা রাখা আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে তারা যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে এবং কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ কর। এ মাসটি শুধু এজন্যই আসেনি, বান্দার জন্য রহমত মাগফেরাত নাজাদের উসিলা করে এসেছে, ধনী গরিবের পার্থক্য দূর করার জন্য এসেছে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছে, ইহকালীন কল্যাণ পরকালীন মুক্তির জন্য এসেছে! সমস্ত ধরনের পানাহার সংযম থেকে নিজেকে নিরাপত্তা রাখার জন্য রমজানে এসেছে, আমার দ্বারা যেন দর্শন ছিনতাই খুন রাহাজানি বর্বরতা লুট অন্যের হক নষ্ট না করা, মাজলুম দেরকে অত্যাচার না করা সে শিক্ষাটাই দিয়ে যায় পবিত্র মাহে রামাদান! আসুন আমরা সকলেই পরকালের মুক্তি এবং ইহকালীন কল্যাণ লাভ করি এই মাহে রমজান থেকে।
মু. আমিনুল ইসলাম তারেক, লেখক ও কলামিস্ট