হুমায়ূন কবীর, ব্রাক্ষণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
নবীনগর পৌর সদরের উত্তর পাড়ায় নিজ বাড়ীতে মা বোন সহ আহত পরিবারের সদস্যদের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন মাহবুবুর রহমান নামে ভুক্তভোগী এক নাগরিক। আজ ১৫ মার্চ শনিবার বিকাল তিনটায় সংবাদ সম্মেলনে মাহাবুব কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন দীর্ঘদিন ধরে আমার বাড়ী ও পার্শ্ববর্তী সুরুজ মিঞার বাড়ীর সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছে।সাম্প্রতিক সময়ে সুরুজ মিঞা তার বাড়ীতে সরকারি নিয়মনীতি তুয়াক্কা না করে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।এই বিষয়ে মাহাবুব বলেন আমি গত ০৩/০৩/২৫ ইং তারিখে প্রতিকার চেয়ে নবীনগর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি।অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নবীনগর থানার এস আই রফিক ১৪ই মার্চ শুক্রবার আমাদের জায়গায় এসে সকাল এগারোটায় এসে উভয় পক্ষকে ঢেকে ফয়সালা দেওয়ার কথা ছিল।তিনি আসার আগেই সুরুজ মিঞার লোকজন আমার মা বোন ও ভাই সহ আমার উপর অতর্কিত হামলা করেন।সুরুজ মিয়া,নূরুে আলম, রাশেদ সহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করেন।
হামলায় আমার বৃদ্ধ মা বয়স ৮০, আমার স্ত্রী, আমার দুই বোন দুই ভাই সহ আটজন গুরুতর আহত হয়।আমাদেরকে পাড়াপ্রতিবেশিরা উদ্ধার করে সরকারি হসপিটালে নিয়ে যায়।আমি সন্ত্রাসী সরুজ মিয়া সহ নয় জনকে বিবাদী করে নবীনগর থানায় মামলা করি।মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নবীনগর থানার পুলিশ আসামি শাহ আলম (৩৫) পিতা সুরুজমিয়াকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন, বাকি আসীমরা বাড়ীতে অবস্থান করে বিরোধপূর্ণ জায়গায় পূনরায় কাজ চলমান রেখেছেন আমি এখন আমার প্রাণভয়ে রয়েছি।আমি আমার উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও প্রশাসনের মাধ্যমে সঠিক বিচার প্রত্যাশা করছি।
এসময় হামলায় আহত জোস্না বোগম(৭০),মাথায় আঘাত প্রাপ্ত সেলাইসহ জখম নিয়ে উপস্থিত ছিলেন খালেদা বেগম,আশা বেগম,কানিজ ফাতেমা।হাতভাঙা নিয়ে উপস্থিত হোন জহিরুল হক,মাথায় সেলাই নিয়ে উপস্থিত হোন জসীম উদ্দীন।