মানাফি ইসলাম নাজমুল, বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলীতে ইসমাইল শাহ মাজারে আগুন দিয়েছেন তৌহিদী জনতা,আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় শুক্রবার রাত সোয়া ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘণ্টা ব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ইসমাইল শাহ মাজারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন,ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখা সভাপতি ‘মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠি সোঠা নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় এবং আগুন দেয়।
এ বিষয়ে তৌহিদী জনতার কাছে জানতে চাইলে তাদের মধ্য থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন,ভন্ড ইসমাইল শাহ জীবিত থাকাকালীন সময়ে তার মুরিদরা তার পায়ে সিজদা দিত।এর পরে তিনি আমড়াগাছিয়া গ্রামে মারা যায় সেখান থেকে টেনে এনে এখন বর্তমান মাজার যেখানে ওখানে তারা দাফন করতে চায়, আমরা প্রায় দশ হাজার তৌহিদী জনতা মিছিল করছিলোম,কারন ওখানে দাফন করে ভন্ডের মাজার করতে দিব না।কিন্তু তৎকালীন সময়ের তথাকথিত ওই মাজারের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল,প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় যে এখানে কোন প্রকার অশ্লীল কার্যক্রম হবে না,এই মাজারে নারী-পুরুষের সম্মেলন ঘটবে না, এই মাজারে কেহ- সেজদা দিবে না এই বলে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ওখানে তার লাশ দাফন করেন।
তিনি আরো বলেন আমরা দীর্ঘদিন থেকেই দেখে আসছি যে, এখানে ওরশের নামে প্রতিবছর নারী-পুরুষের সম্মেলন ঘটে এছাড়াও গানবাজনা ও গাজা, মাদক সেবন সহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে আসছে।
প্রতিবছরের ন্যায় এই রমজান মাসেও এ অনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেছে এবং আমরা শুনতে পেরেছি যে ওখানে সেজদা দেওয়া হয় এবং ওই সিজদার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, এই খবর আমাদের কানে আসার পরে আমরা আমতলী পৌরসভার সকল ইমামরা একত্রে বসি এবং ওখানে সিদ্ধান্ত হয় যে আমরা সকলে গিয়া তাদেরকে বুঝাইবো এইসব অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য , এবং আমরা সেখানে সবাই গিয়া মাজার পরিচালক অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল এর সাথে কথা বলি কিন্তু তিনি আমাদের কথা গ্রহণ না করে বিভিন্ন উজকানি মূলক কথাবার্তা বলে এবং কথা বলতে বলতে এডভোকেট বাবুলের সমার্থকরা সবার সামনে বলে ওঠেন আমরা এখানে সেজদা দিব পারলে কেউ ঠেকাইও। এনিয়ে আরো তর্ক-বিতর্ক বাড়তে থাকে একপর্যায়ে বাবুলের সমার্থক রা এই আলেম দের উপরে হামলা চালায়, এ দেখে সাধারণ মানুষরা সহ্য করতে না পেরে তারা অ্যাকশন শুরু করে।
ভন্ড ইসমাইল শাহ এর মাজারে সিজদাহ্ দেওয়ার কারনে মাজার’টি পুড়িয়ে মাটির সাথে মিলিয়ে দিয়েছে তৌহিদী জনতা এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের পর শতকরা ৯০% মানুষই আলহামদুলিল্লাহ ঝড় তুলেছেন
খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা ,নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান ও ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ অপর দিকে, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘণ্টা ব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।