সজীব হাসান, (বগুড়া) প্রতিনিধি:
মটর শ্রমিকের দুই নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে বগুড়া থেকে সকল রুটে পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকরা। বুধবার সকাল থেকে বগুড়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে শহরের স্টেশন রোডে নারিকেল ব্যবসায়ীদের সাথে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের বাকবিতণ্ডা থামাতে গিয়ে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের দুই নেতার উপর হামলা করে ব্যবসায়ীরা। হামলায় আহতরা হলেন- বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা এবং সদস্য হযরত আলী। এরা দুজনেই বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ( শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই হামলার জের ধরে বুধবার সকাল থেকে পরিবহন শ্রমিকরা শহরের চারমাথা, ঠনঠনিয়া, হাড্ডিপট্টি,স্টেশন রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় লাঠি শোটা নিয়ে সড়কে নেমে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেন। আকস্মিক ভাবে পরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।বিশেষ করে ঢাকাগামী যাত্রীরা আগাম টিকিট সংগ্রহ করেও গন্তব্যে যেতে পারছেন না। এদিকে মঙ্গলবার দুইজন পরিবহন শ্রমিক নেতার উপর হামলার পর বুধবার শহরের স্টেশন রোডে ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ রাখেন।
বুধবার বেলা ১১ টার দিকে পরিবহন শ্রমিকরা স্টেশন রোডে বন্ধ রাখা নারিকেলের দুইটি আড়তে ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই দোকান দুইটি হামলার শিকার শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেনের। মানিক এবং রতন নামের দুই ব্যবসায়ী ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। বগুড়া জেলা বাস মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির দায়িত্ব প্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এরশাদুল বারী এরশাদ বলেন, শ্রমিক নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন যার কারনে বগুড়া থেকে সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পূর্ব ঘোষণা ছাড়া কর্মবিরতির কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের অন্য জেলা থেকে ছেড়ে আসা দুর পাল্লার বাস গুলো চলাচলে শ্রমিকরা বাঁধা দিচ্ছেন না। বগুড়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সৈয়দ কবির আহমেদ মিঠু বলেন, আমাদের শ্রমিক নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছি। এর কঠোর বিচার চাই।
নইলে সংগঠন কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দীন জানান পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। দুইজন পরিবহন শ্রমিক নেতার উপর হামলার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতেই নারিকেল ব্যবসায়ী রতনকে আটক করা হয়েছে। এঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।