মোঃ জাহিদুল হক: সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৬নং ছোনগাছা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদকসহ যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের চার নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। এবং বিভিন্ন গন্যমাধমে নিউজ প্রকাশের পরও তাদের বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, রোববার (১৬) মার্চ ৬নং ছোনগাছা ইউনিয়ন নামে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে এ রেকর্ডটি ফাঁস হয়। বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যও চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় । ওই রেকর্ডে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুল কাদের, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলামের নাম শোনা যায়। এবং ছোনগাছা ফেসবুক গ্রুপে এ সংক্রান্ত একটি লেখা পোস্ট করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ছোনগাছা পাঁচঠাকুরী যমুনা বাজার হাট আলাউদ্দিনের দোকান থেকে চাঁদা আদায় করে। এদের কারণে বিএনপির ভাবভূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এদের অত্যাচারে সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ। এই সমস্ত চাঁদাবাজ নেশা খোরদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হোক । জেলা বিএনপি, সদর থানা বিএনপি, জেলা যুবদল,সদর থানা যুবদল আপনাদের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
এলাকা বাসির তথ্যমতে জানা যায়,গত ৫ ই আগষ্টের পর এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চাঁদা তুলছিল অভিযুক্ত ব্যক্তিরা,বিষয়টি কাওকে না প্রকাশ করার জন্যও ছিল হুমকি ধামকি,বাদ যায়নি ক্ষুদ্র মুড়ি ব্যবসায়ীও,এছাড়াও ফয়সাল (ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক) এবং তার সহযোগি হিসেবে কামরুল (থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সিরাজগঞ্জ) হাটিকুমরুল হাইওয়ে অবৈধ তেলের ব্যবসা থেকেও চাঁদা উত্তোলন করে বেশ কয়েকবার, কখনোও পুলিশের এস আই,কখনোও ভোক্তা অধিকারের অফিসার সেজে করে যাচ্ছেন নৈরাজ্য,তাদের এমন আচরণে সাধারণ মানুষ বলছেন,মাত্র কয়েক মাসের অবস্থা দেখে বাধ্য হয়ে এখন বলতে হচ্ছে, হয় তো আগেই ভালো ছিলাম কারন আওয়ামীলীগের আমলে আমরা এত অত্যাচার দেখিনি,এত চাঁদাবাজি দেখিনি,তারা ক্ষমতায় এখনোও যায়নি,তাতেই যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে ক্ষমতায় গেলে এলাকায় বসবাস করাই কঠিন হয়ে পড়বে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানির পরও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী একটি অভিযোগ পত্রও আর্মি ক্যাম্প সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজ বরাবর প্রদান করা হয়,অভিযোগটি হুবুহু তুলে ধরা হলো,
বর্তমান সময়ে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন ০৬ নং ছোনগাছা ইউনিনের পাঁচঠাকুরী যমুনা বাজার হাটে ছোনগাছা ইউনিয়ন সাবেক ইউনিয়ন বিএনপি সাংগাঠনিক সম্পাদক ফারুক, ছোনগাছা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাদের, ছোনগাছা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগাঠনিক সম্পাদক ফয়সাল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবাহয়ক কামরুল ও এর সহযোগীদের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এদের ভয়ে এলাকার নিরীহ ব্যক্তিরা মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে। যাদের নিকট হতে জোড় পূর্বক চাঁদা আদায় করা হয়েছেঃ (১) মোঃ আলাউদ্দিন, দোকানদার, পাঁচবাকুরী বাজার (২) মোঃ মাহবুব দোকানদার, (কূটনাষক) (৩) মোঃ জাহাঙ্গীর, ভেওয়ামারা বাজার, (সারের দোকান)। (৪) মানু বালি ঘুগরি (হিন্দু) (৫) মোঃ শহিদুল ইসলাম, ছোনগাছা বাজার (৬) মোঃ ইউসুব আলী, বাগবাটী (৭) মোঃ তাজেল, ছোনগাছা বাজার। এছাড়া যাদেরকে হমকি প্রদান করা হয়েছেঃ আব্দুল কাদের ৫/২/২৫ চর ছোনগাছা আলহাজ শমসের আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কালাম আজাদ কে প্রকাশ্যে বিদ্যালয়ের মাঠে হমকি ও গালাগালি করে। সহকারী শিক্ষকদেরও গালাগালি করে। আব্দুল কাদের সহ ফারুক, কামরুল, ফয়সাল এদের ভয়ে সবাই অভিযোগ দিতে সাহস পায়না।
এমতবস্থায়, উপরোল্লিখিত নেশাখোড়, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
বিনীত নিবেদক-
৬নং ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচঠাকুরী গ্রামের সর্বস্তরের জনসাধারণ।
এবিষয়ে ছোনগাছা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন, এটা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, ভিত্তিহীন। একটি ফেক আইডি থেকে আমাদের সম্মান নষ্ট করার জন্য এগুলো অপপ্রচার করা হচ্ছে। এদিকে নেটিজেনরা বলছেন কয়েকজন ব্যক্তির কারণে বিএনপির উপর থেকে মানুষের আস্থা দিন দিন কমে যাচ্ছে। যদি এখনি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে এক সময় বিএনপির অবস্থাও বিগত সরকারের মতই হবে