মাহমুদুর রহমান নাঈম, ঢাকা প্রতিনিধি:
মিয়ানমারকেন্দ্রিক রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ ছাড়া অন্য ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ শহরের নতুন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের ধরা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লি আবাসিক এলাকার ভূমিপল্লি টাওয়ার থেকে আতাউল্লাহসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে ২১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, একটি চাকু ও একটি স্টিলের ধারালো চেইন (ধারালো দাঁতযুক্ত ও দুই পাশে হাতলবিশিষ্ট) জব্দ করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র জানায়, আতাউল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির প্রধান। তিনি আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে খুনের নির্দেশদাতা। অন্তত চার আসামির জবানবন্দিতে ওই হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার বিষয় উঠে আসে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা (স্কোয়াড্রন লিডার) রিজওয়ান রুশদী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আরসারপ্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ। গ্রেপ্তার অন্যদের মধ্যে আছেন আরসা সদস্য মোস্তাক আহাম্মদ, মনিরুজ্জামান, সলিমুল্লাহ, মোসাম্মৎ আসমাউল হোসনা, মো. হাসান, আসমত উল্লাহ, হাসান ও মোসাম্মত শাহিনা।
তাদের মধ্যে মনিরুজ্জামান সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লি এলাকায় ভাড়া থাকতেন। সলিমুল্লাহ, মোসাম্মৎ শাহিনা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকতেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে দুটি মামলায় মঙ্গলবার বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আতাউল্লাহকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে হাজির করা হয়। মামলা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার ও সোমবার ময়মনসিংহ শহরের নতুন বাজার গার্ডেন সিটি এবং নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লিতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১। নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে তিন নারীসহ আরসার ১০ জনকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে র্যাব বাদী হয়ে দুটি মামলা করে। মামলার পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে পাঠায় পুলিশ।