মোঃ সাজেল রানা:
আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, কিছু আইন ও বিধান সংশোধন করা হবে, যা জনগণের সুবিধা এবং সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে সহায়ক হবে। নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:
১. নারী ও শিশু নির্যাতন আইন এর সংশোধনী পাশ:
সভায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাশ হয়েছে, যা নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
২. সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি:
সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বাড়াতে এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অধ্যাদেশের সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে প্রাক্কলিত মূল্যের ১০ পার্সেন্টের কম হলে টেন্ডার প্রস্তাব বাতিলের যে বিধান ছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, পূর্বের কাজের মূল্যায়নের জন্য যে ম্যাট্রিক্স ছিল, তা পরিবর্তন করে নতুন সক্ষমতা ম্যাট্রিক্স করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে একই প্রতিষ্ঠান বারবার কাজ পাওয়ার সুযোগ কমবে। বর্তমানে ৬৫ শতাংশ কাজের দরপত্র বা টেন্ডার অনলাইনে হচ্ছে, যা এবার শতভাগে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
৩. পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দপ্রাপ্তদের নামজারি বিষয়ক সংশোধনী:
পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দপ্রাপ্তরা পূর্বে তাদের নামে নামজারি করতে পারতেন না। সেই অসুবিধা দূর করতে আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে, যা এসব প্রক্রিয়াকে আরো সহজ ও সুবিধাজনক করবে।
৪. ঈদের ছুটি বৃদ্ধি এবং সামাজিক দিবসের ছুটি:
জনসাধারণের সুবিধার্থে ৩রা এপ্রিল একদিন ঈদের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী সকল জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক দিবসে ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণার বিধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এসব সিদ্ধান্ত জনগণের সুবিধা এবং দেশের উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে সভায় জানানো হয়েছে।