সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ভল্ট থেকে পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা গায়েব হয়ে গেছে। এ টাকার অনুসন্ধানে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন তামাই জনতা ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক ও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ধানবান্ধী মহল্লার হারান শেখের ছেলে আল-আমিন (৪২), সহকারী ব্যবস্থাপক ও বগুড়ার ধুনট থানার বেলকুচি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম (৩৪) এবং ব্যাংক অফিসার ও সিরাজগঞ্জ বনবাড়িয়া কাদাই গ্রামের জিয়াউল হকের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৩১)।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তামাই শাখার লেনদেন নিয়ে আমাদের কিছুটা সন্দেহ হয়। এজন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আমরা গতকাল ব্যাংকে গিয়ে অডিট করি। তাতে পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার গরমিল পাওয়া যায়। এসময় ওই শাখার ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপক ও অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তারা এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে আমি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বেলকুচি থানায় একটি মামলা করি। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, যেহেতু বিষয়টি টাকা লেনদেন সংক্রান্ত। এজন্য অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) পাঠানো হয়েছে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় রোববার (২৪ মার্চ) রাতে মামলা হওয়ার পর ব্যাংকের তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তামাই শাখার নতুন শাখা ব্যবস্থাপক কামরুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় দুই সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কমিটির সদস্য বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া অফিসের যুগ্ম-পরিচালক এস এম সাজ্জাদ হোসেন ও সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক এরইমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।