নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজায় ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে সোমবার (৭ এপ্রিল) সারাদেশে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন। বিক্ষোভ চলাকালে সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বগুড়া ও আরও কয়েকটি জেলায় কেএফসি, পিৎজা হাট, বাটার শোরুমসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, এসব সহিংস ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হামলা ও ভাঙচুরকে জননিরাপত্তা ও আইনের শাসনের প্রতি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বিক্ষোভ ও সহিংসতা চলাকালে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দায়ীদের শনাক্তে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অপরাধীদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই ঘটনার তদন্তে যাদের কাছে কোনো তথ্য রয়েছে, তারা যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করেন। সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
এর আগে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।