নিজস্ব প্রতিবেদক:
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ১৭৯৮ সালের এলিয়েন এনিমি অ্যাক্ট অনুসারে ট্রাম্প প্রশাসনকে ভেনেজুয়েলান গ্যাং সদস্যদের বহিষ্কারের অনুমতি দিয়েছে। সোমবার (৮ এপ্রিল) দেওয়া এ রায়ে বলা হয়েছে, আইনটি প্রয়োগ করা যাবে, তবে তা নির্দিষ্ট কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেই করতে হবে।
৫-৪ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে রক্ষণশীল বিচারকেরা ট্রাম্পের পক্ষে অবস্থান নেন, বাতিল করেন ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল বিচারক জেমস বোয়াসবার্গের দেওয়া স্থগিতাদেশ। এই স্থগিতাদেশে ট্রাম্প প্রশাসনের ত্রেন দে আরাগুয়া গ্যাং সদস্যদের দ্রুত বহিষ্কারের আদেশ স্থগিত করা হয়েছিল।
তবে সুপ্রিম কোর্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকেরা রায়ে বলেন, “বন্দিদের অবশ্যই একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে অবহিত করতে হবে যে তারা এলিয়েন এনিমি অ্যাক্টের আওতায় বহিষ্কৃত হতে পারেন। যেন তারা যথাযথ ফেডারেল জেলায় হ্যাবিয়াস করপাস আবেদন করতে পারেন।”
রায়ে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু এসব বন্দিরা টেক্সাসে আটক, তাই মামলার স্থান ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়া নয়, টেক্সাস হওয়া উচিত ছিল।
ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “সুপ্রিম কোর্ট আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। এখন একজন প্রেসিডেন্ট দেশের নিরাপত্তা ও সীমান্ত সুরক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবেন।”
আইনি চ্যালেঞ্জটি আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) দায়ের করে। তারা যুক্তি দিয়েছে, এলিয়েন এনিমি অ্যাক্ট কেবল যুদ্ধকালীন সময়ে প্রযোজ্য। এই আইনের ব্যবহার শান্তিকালে অভিবাসীদের আইনি অধিকার লঙ্ঘন করছে।
এসিএলইউ’র আইনজীবী লি গেলার্ন্ট বলেন, “সরকার যুদ্ধকালীন ক্ষমতা এখন অভিবাসন নীতিতে প্রয়োগ করতে চায়, এটি একটি বিপজ্জনক নজির।”
তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট করা হয়েছে, আদালত এই আইনের অধীনে ট্রাম্প প্রশাসনের বহিষ্কারের বৈধতা চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করছে না। বরং শুধু মামলাটি কোথায় চলবে এবং বন্দিদের অধিকার রক্ষায় প্রাথমিক নির্দেশনা দিচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ১৭৯৮ সালের এই আইন মূলত যুদ্ধকালীন সময়ে ব্যবহারের জন্য তৈরি হলেও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এর প্রয়োগ অভিবাসন ইস্যুতে গভীর বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।