জাহিদুল হক, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রুপের বেড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি মিমাংসাকৃত ঘটনাকে কেন্দ্র করে একের পর এক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে, The people news, সিরাজগঞ্জ মিডিয়া হোম সহ বেনামি বিভিন্ন পেজ থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এতে সিরাজগঞ্জের মুলধারার সাংবাদিকরা পড়েছেন বিপাকে,এই নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। জানা যায়,সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াখোলা ইউনিয়নের বাসিন্দা রহমত আলী (৬৫) এর ছেলে আলী আশরাফ নদীর চরে বাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ায় বর্তমানে সিরাজগঞ্জের পৌরসভার রায়পুর চইড়াপাড়া গ্রামে তার পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় তিনি সিরাজগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হেলালের সিরাজগঞ্জের একটি স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক যুগের কথা পত্রিকা অফিসে মাত্র ২ হাজার টাকায় কম্পিউটার অপারেটরের চাকুরী শুরু করেন,সেই সুবাদে বিভিন্ন মুলধারার গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে পরিচয় ঘটে,নিজেকে বিস্তার ঘটাতে সুযোগের সৎ ব্যবহার করে দেশের প্রথম সাড়ির গনমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে নিজেকে সাংবাদিক বলে প্রচারণা চালায়, তারই ধারাবাহিকতায় নিজেকে বিরাট মাপের সাংবাদিক বলে দাবি করেন এবং বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে একের পর এক চাঁদাবাজি,টেন্ডার বাজি, অবৈধ জমি দখল,পারিবারিক কলহ মিমাংসা,নারী কেলেঙ্কারির মত অপরাধের বিচার করতে থাকেন।
এতে চরম বিপর্যয়ের মধ্য পড়ে সিরাজগঞ্জের মুলধারার গণমাধ্যম কর্মীরা। তার অপরাধের মাত্রা দিন দিন বাড়তেই থাকে। বিষয়টি নিয়ে তাদের পারিবারিক অনেক কলহ হয় এবং তিনি তার ফেসবুকে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করে বিভিন্ন পোষ্ট করেন যে তিনি আর কোন অপরাধে জড়াবেন না। সাংবাদিক পরিচয় বহন করার বিষয় নিয়ে দৈনিক যুগের কথা সিরাজগঞ্জ অফিসে জানতে চাইলে তারা এই প্রতিবেদনকে জানান,আলী আশরাফ কোন সাংবাদিক নয় সে এখানকার একটা কম্পিউটার অপারেটর মাত্র, পারিবারিক অবস্থা চিন্তা করে আমরা তাকে চাকুরীটা প্রদান করি।
সাংবাদিকতার তার কোন বৈধতা নেই এমনকি তাকে কোন প্রেস কার্ড প্রদান করা হয়নি। দৈনিক যুগের কথার বক্তব্য অনুযায়ী আমরা তীব্র অনুসন্ধান করি তার বিষয় নিয়ে, সাংবাদিক বিষয়ে কোথাও তার কোন ভিজিটিং কার্ড প্রেস কার্ড এখন পর্যন্ত কেউ দেখেনি, তাহলে নিজের সংবাদ প্রকাশ করে কিভাবে? এই প্রশ্নের উওর খুঁজতে গত কয়েক বছরের করা তার বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে করা প্রতিবেদনে দেখা যায়, নিজস্ব প্রতিবেদক ,বিশেষ সংবাদদাতা,যুগের কথা ডেক্স,বার্তা অফিস,স্টাফ রিপোর্টার ইত্যাদি ব্যবহার সংবাদ প্রকাশ করে যা সম্পুর্ণ অবৈধ এবং সাংবাদিক নীতিমালার বাইরে। অবৈধভাবে বিভিন্ন সংবাদ পরিবেশনের কারনেও বেশ কয়েকবার হামলা- মামলার স্বীকারও হলেও পরবর্তীতে গ্রাম্য সালিসের বিচারে সকলের কাছে হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে নেন আলী আশরাফ ( ভুয়া সাংবাদিক) কিন্তু কয়লা ধুইলে যেমন ময়লা যায় না আলী আশরাফেরও চরিত্র বদলায় না। আগের মতই তার কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যও চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী বলছেন এই ধরনের ভুয়া সাংবাদিকের কারনেই আসল সাংবাদিক প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচার করা হোক। না হলে এদের কারনে জাতির বিবেক ধ্বংসের দিকে যাবে।