নিজস্ব প্রতিবেদক:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জানতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে গেছে বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
বুধবার বেলা ১২টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’য় উপস্থিত হয়। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সময়সীমা ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ সরকারকে পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় রাখার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বিএনপি।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনকে নির্দিষ্ট সময় জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার উচিত আনুষ্ঠানিকভাবে রোডম্যাপ ঘোষণা করা। দলটির মতে, নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রকৃত অবস্থান স্পষ্ট করতে না পারায় সাধারণ জনগণ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট ধোঁয়াশা কাটাতে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা জরুরি। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের পূর্বে বলেছিলেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। এখন তিনি জুন পর্যন্ত সময় বলছেন—এটা নিয়ে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য প্রয়োজন।”
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির মঙ্গলবার রাতের বৈঠকে এই বৈঠকের প্রস্তুতি, আলোচ্যসূচি এবং সরকারের মনোভাব বোঝার কৌশল ঠিক করা হয়। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এদিকে বৃহস্পতিবার সংস্কার ইস্যুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গেও বৈঠক করবে বিএনপি। এই দুই বৈঠক থেকেই দলের পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থান এবং কর্মসূচির দিক নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে।
বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচন ঘিরে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় একটি শক্ত অবস্থান নেওয়ার জন্য রোডম্যাপের পাশাপাশি রাজনৈতিক ঐকমত্য অত্যন্ত জরুরি।