ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি:
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের গাফিলতি ও ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন ছাত্র সংগঠন ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ (বৈছা) ও নবগঠিত ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ’ (বাগছাস)।
বৃহঃস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) জবি ক্যাম্পাসের রফিক ভবনের নিচ তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে ৮ দফা দাবি পেশ করে ‘বৈছা’ এবং ‘বাগছাস’।
দাবিগুলো হলোঃ
১.ফ্যাসিস্ট হামলাকারী ও ইন্দনদাতাদেরকে বিচারের আওতায় আনা,
২.জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ফি মওকুফ,
৩.গত ১৫ বছরে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ তদন্ত এবং প্রতিবেদন প্রকাশ,
৪.দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন এবং অগ্রাধিকার প্রকাশ করা,
৫.২০ কার্যদিবসের মধ্যে সকল দুর্নীতির শ্বেতপত্র উপস্থাপন, শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট,
৬.আবাসন ভিত্তি প্রদান ও আনুপাতিক বাজেট বরাদ্দকরণ,
৭.সমাবর্তন আয়োজন,
৮.তিন কার্যদিবসের মধ্যে জকসুর নীতিমালা ও নির্বাচনী রোড ম্যাপ প্রকাশ।
সংবাদ সম্মেলনে জবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বৈষম্য, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার শিক্ষার্থীরা।”
জবি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, “আমাদের দাবি না মানা হলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ যৌথভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে দাবি আদায় করে নেবে।”
এসময় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা কিশোর সাম্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব সিফাত হাসানসহ সংগঠন দুটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর পূর্বে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও আবাসন ভাতার দাবিতে বেশ কয়েকটি আন্দোলন হলেও জবি প্রশাসন কার্যত কোন পদক্ষেপ নিতে পারেননি। আগষ্টের পরে দায়িত্ব নিলেও প্রশাসন জুলাই আগষ্টের চেতনাকে ধারণ করতে পারছে না। প্রতিষ্ঠার ১৯ বছরেও নানান সমস্যায় জর্জরিত এই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।