শাহজাহান সাজু , কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাইছমা গ্রামের মফিজ উদ্দিন এর ছেলে ফখরুল ইসলামের বাথরুম থেকে মলমূত্র প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিনুল হকের জায়গার উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রবাহিত হলে। আমিনুল হক একজন লেবারের মাধ্যমে মাটি দিয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে হত্যার উদ্দেশ্যে ফখরুল ও তার স্ত্রী তানিয়া, ভাই এরশাদ, জহুরুল, মোফাক্কারুলসহ অন্যান্য সহযোগীরা অধ্যাপকের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় ৬ এপ্রিল অধ্যাপক আমিনুল হক বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা নং-৩। মামলা দায়েরের পরপর পুলিশ ১ নং আসামি ফখরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। অন্যান্য আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত আসামি এরশাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপরদিকে (৮ এপ্রিল ) অধ্যাপক আমিনুল হক ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে ১ নং আসামি ফখরুল ইসলামের ভাতিজা ও আসামি জহিরুল ইসলামের ছেলে রেস্টুরেন্ট কর্মচারী সাকিবুল হাসান (১৮), মামলা নং-৬।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঘটনার দিন গত ৪ এপ্রিল ২০২৫ রোজ শুক্রবার সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকায় সাকিবুল হাসান কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই নাকভাঙ্গা এলাকায় সেলফিজোন নামের একটি রেস্টুরেন্টে ডিউটি করছিল। এ ধরনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সাকিবুল হাসান মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন ঘটনার সময় সকাল ১০ঃ০০ ঘটিকা। আরো উল্লেখ করেন, জখমীদের ডাক চিৎকারে আমিসহ আশপাশ হইতে লোকজন সহ সাক্ষীরা
বিবাদীদের কবল হইতে জখমীদের উদ্ধার উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যর্থ হই। বিবাদীগণ তখন আমাদের পরিবারের লোকজনদেরকে জীবনে শেষ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিলে। প্রাণ রক্ষার্থে আমার চাচা ফখরুল ইসলাম ৯৯৯ কল দেয়। ঘটনার দিন সাকিবুল হাসান রেস্টুরেন্টে কর্মরত থাকা অবস্থায় কিভাবে সে জখমীদের উদ্ধারের চেষ্টা করে।
শুধু তাই নয় একজন স্বনামধন্য বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার আমিনুল হকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করে অপপ্রচার চালাচ্ছে ফখরুল-তানিয়া দম্পত্তির সহযোগীরা। অধ্যাপকের দায়ের করা মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যই সাকিবুল হাসান ঘটনাস্থলে না থেকেও মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে মামলাটি দায়ের করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষুবের সৃষ্টি হয়েছে। দায়ের করা মামলায় অধ্যাপকসহ অন্যান্য আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার বাদী সাকিবুল হাসানের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি জানান (৪ এপ্রিল) শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় আমি রেস্টুরেন্টে কর্মরত ছিলাম। বারোটা একটার দিকে আমি বাড়িতে আসি। এ ব্যাপারে অধ্যাপক আমিনুল হক বলেন, প্রতিপক্ষের হামলায় আমি গুরুতর আহত হয়েছি। থানায় মামলা দায়ের করেছি। আসামি জেল হাজতের রয়েছে।
ঘটনার দিন সাকিবুল হাসান বাড়িতে ছিল না, সে রেস্টুরেন্টে কর্মরত ছিল। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা দায়ের করেছে। আমি এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ঘটনাস্থলে না থেকেও মামলার বাদী হতে পারে?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোসেনপুর থানার ওসি মারুফ হোসেন জানান, বাদী যে কেউ হতে পারে। ঘটনাস্থলে না থাকলেও বাদী হতে পারে। ঘটনার বিষয়ে যে কেউ জানাইতে পারে। ঘটনা ঘটেছে হোসেনপুরে, ঢাকা থেকে এসে যদি কেউ বলে ও মাইর খাইছে, ও দেখছে। সেও বাদী হতে পারবে। ঘটনা প্রমাণ করবে সাক্ষীরা।