মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুননগর গ্রামের মাঠে স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পেটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসসিপি-রেইনস) এর আওতায় উচ্চমূল্য ফসল প্রদর্শনীর আওতায় মাঠ দিবস প্রদর্শনী ও কারিগরি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) বিকালে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুননগর মাঠে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং ইসলামপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাসুমা আক্তারের সঞ্চালনায় মোঃ রাকিবুল ইসলামের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকার অতিরিক্ত পরিচালক মনিরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ শহিদুল ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম রসুল, এসএসসিপি-রেইনস প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার মোঃ তাজুল ইসলাম, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মকর্তা মেহের মালিহা, কৃষক গোলাম মওলা, কৃষক উদ্যোক্তা মোঃ রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন চারটি চেম্বারে শুরু করে এখন ১২টি চেম্বারে চাষ হচ্ছে। প্রতি কেজি ২০ টাকা দরে এই সার কৃষকদের মাঝে বিক্রি করা হচ্ছে। এটি একটি নতুন উদ্ভাবন। এই সার ব্যবহার করে কৃষক উপকৃত হচ্ছেন।
কৃষক রাকিবুল ইসলাম যাদু জাতের শসা চাষ করেছেন ৫০ শতাংশ জমিতে। এর জন্য তাঁর ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এই জমি থেকে তিনি ১ লাখ ২০ হাজার টাকার শসা বিক্রি করেছেন। এই চাষ লাভজনক হওয়ায় এখন অনেক কৃষক এই চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এখানে নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে। অপর এক কৃষক রাকিবুলকে দেখে এবারই প্রথম ১ বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত তাঁর খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত তিনি ১ লাখ টাকার কিছু বেশি শসা বিক্রি করেছেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠে মাঠে গিয়ে সাধারণ কৃষকদের সাথে কাজ করে থাকেন। আমরা কৃষিকে আধুনিক করতে এলাকায় নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে চলেছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সবসময় আমাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন। আমরা আগামীতে বালিয়াকান্দিকে আধুনিক কৃষি এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে পারব বলে আশাবাদী।