মোঃ নাঈম মল্লিক, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
নলছিটি উপজেলার সরমহল এলাকার সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত সরমহল ফয়জিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী ও নূরানী মাদ্রাসা কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটি অধিকাংশ দিন বন্ধ থাকে, পাঠদান কার্যক্রম প্রায় নেই বললেই চলে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার প্রতিটি কক্ষে তালা ঝুলছে। সাইনবোর্ডে দেওয়া তিনটি ফোন নম্বরের মধ্যে একটি বন্ধ, একটি ব্যবহৃত হচ্ছে না এবং অপরটি ভুল ১০ সংখ্যার নম্বর। মাদ্রাসার গেইটজুড়ে লতাপাতা জড়িয়ে রয়েছে, দেখে মনে হয় এটি একটি পরিত্যক্ত ভবন।
জানা গেছে, এলাকাবাসীর উদ্যোগে ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসাটিতে বর্তমানে চারজন শিক্ষক রয়েছেন, যাদের মধ্যে তিনজন নারী। মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলামের স্ত্রী এবং ভাগ্নে-বউ উভয়েই শিক্ষক পদে রয়েছেন এবং নিয়মিত অনুদান থেকে বেতন গ্রহণ করছেন। প্রধান শিক্ষক মাওলানা আলী আহমেদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, “মাদ্রাসায় ক্লাস শুরু হয় সকাল ৯টায়, শেষ হয় ১২টায়। আজ হয়তো কোনো কারণে আগেভাগে ছুটি দেওয়া হয়েছে। আমাদের তো নির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই, তাই এভাবেই চলছে।”
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, “এই মাদ্রাসায় এখন আর পাঠদান হয় না। চারজন শিক্ষকই আত্মীয়-স্বজন, আর প্রধান শিক্ষক তো মাসের পর মাস আসেন না। প্রতিষ্ঠানটি এখন বখাটে ও মাদকসেবীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে।”
স্থানীয়রা আরও বলেন, “এসব নামমাত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা দিনের পর দিন আন্দোলন, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। অথচ ছাত্র-ছাত্রী নেই, নেই কোনো নিয়মিত পাঠদান।”
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন বেহাল অবস্থায় চললে প্রশ্ন উঠছে কারা দেখভাল করছে এসব অনিয়ম? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল আজীম বলেন,“আজ সরকারি কোনো ছুটি নেই। তাহলে তারা কেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে বা কেন উপস্থিত হয়নি এটা খতিয়ে দেখতে হবে। বিষয়টি আমার জানা ছিল না