মোহাম্মদ নয়ন, ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড কুঞ্জপট্টি জমিজমাকে কেন্দ্র করে রাস্তায় একা পেয়ে মা-মেয়েকে মারধর রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে পার্শ্ববর্তী আলম গংদের বিরুদ্ধে। আহতরা হলেন, ফিরোজা ও তার মেয়ে রহিমা। তারা ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের আহত ফিরোজা বলেন, আমাদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে পাশ্ববর্তী আলোম গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এর ধারাবাহিক গত ২-৪-২০২৫ তারিখ আমাদের সাথে বিবাদী আলম গংদের সাথে জমি নিয়ে সমাধানের কথা হলে আমার স্বামী, ননদের জামাই মোঃ জামাল হাওলাদারকে আমাদের পক্ষের শালীশদার হিসেবে মনোনীত করে ডাকা হয়। সালিশ শেষে আমার ননদের জামাই তাদের বাড়িতে চলে যায়। তখন আমার স্বামী ও আমাদের লোকজনসহ বাড়িতে চলে আসে। কিছুক্ষণ পরে কে বা কারা আমার ননদের জামাইকে ফোন করে আনছে তা আমরা সঠিক জানিনা। বাড়ি থেকে চিল্লাপল্লার খবর শুনে রাস্তায় আসলে দেখতে পাই আমার ননদের জামাই মাটিতে লুটে পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক আমরা ডাকচিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে। চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল রেফার করেন। বরিশাল নেওয়ার পথেই সে অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে ইন্তেকাল করে
এই সুযোগে বিবাদী পক্ষ আলম গং তাদের লোকজন নিয়ে আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। আমরা সবাই আমার ননদের স্বামীকে নিয়ে টেনশনে থাকলেও বাড়িতে যাইতে চাইলে আলমের স্ত্রী নাসিমা বেগম ছেলেসহ বহিরাগত মাস্তান সহকারে আমাদেরকে আমাদের বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি। তাই আমরা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় দিন যাপন করি। সোমবার রাত বাড়ি ঘর দেখতে গেলে আলম তার স্ত্রী তাদের দলবল নিয়ে আমাদের বাড়ির দরজায় রাস্তার উপরে আমাকেও আমার মেয়েকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমাদের ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। আমাদের সাথে থাকা মোঃ নুরু আলম আমাদেরকে চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মারধরের বিষয় মোঃ নুর আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকতে পারে। মহিলাদেরকে একা পেয়ে রাতের অন্ধকারে এভাবে মারধর করবে বিষয়টি খুব দুঃখজনক বলে মনে হচ্ছে। তারা বিবাদীদের ভয়ে রাতের অন্ধকারে তাদের ঘরবাড়ি দেখতে আসলে রাস্তার উপরে এভাবে মারধরও ঘটনাটি ঘটাবে বিষয়টি আমি বুঝে উঠতে পারিনি।
মারধরের বিষয় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দুইপক্ষের মধ্যে জমিজমা নিয়ে ঝামেলা চলে আসছে। এর জেরধরে মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। মারধরের বিষয় অভিযুক্ত আলমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে কথা বলতে নারাজ বলে জানান।
মারধরের বিষয় ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসনাইন পারভেজ এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিককে বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।