আদিব হাসান প্রান্ত. সিকৃবি প্রতিনিধি
স্নাতক ডিগ্রিধারী কৃষিবিদদের প্রতি চলমান বৈষম্যের প্রতিবাদে ও পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ‘তুমি কে আমি কে, কৃষিবিদ কৃষিবিদ’, ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে ‘, ‘৫ দফা ৫দাবি, মানতে হবে মানতে হবে ‘ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সানোয়ার হোসেন বলেন,” আমাদের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক, কারণ কৃষি অফিসার পদে কৃষিবিদদের ছাড়া অন্য বিষয়ের গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগ দেওয়া হলে কৃষিক্ষেত্রে বাস্তব জ্ঞান ও দক্ষতার সংকট দেখা দিতে পারে, যা দেশের খাদ্যনিরাপত্তা ও কৃষি উন্নয়নের জন্য হুমকিস্বরূপ। সর্বোপরি, দেশের কৃষি শিক্ষা, কৃষিজ্ঞান সম্প্রসারণ ও কৃষিভিত্তিক মানবসম্পদ উন্নয়নে এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন হলে তা শুধু কৃষিবিদদের নয়, গোটা জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৫ দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
১. কৃষি বিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান (ডিএই) এর অধীনেই রাখতে হবে। DAE তে কর্মরতদের পদবী হবে উপসহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার।
২. নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ব্যতীত ৯ম গ্রেডে পদোন্নতির (BADC সহ অন্যান্য) কোনো সুযোগ রাখা যাবে না এবং ১০ম গ্রেডের পোস্টসমূহ গেজেটের আওতার বাইরে প্রচলিত কাঠামোতেই রাখতে হবে।
৩. ১০ম গ্রেডের (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/উপসহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমান) চাকরিতে বিএসসি এবং ডিপ্লোমা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—
৪. কৃষি / কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ক স্নাতক ব্যতীত নামের সাথে “কৃষিবিদ” প্রত্যয় ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৫. প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম ছাড়া কোনোভাবেই পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রাখা যাবে না।
এছাড়া মানববন্ধনে কৃষি অনুষদের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী হযরত আলি বলেন, “ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া যৌক্তিক নয়, কারণ কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থীর মধ্যে কম্পিটিটিভ পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা পড়ার সুযোগ পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে যোগ্যতা যাচাই ছাড়াই কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দিলে শিক্ষার গুণগত মান কমে যাবে এবং অদক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি হবে।”