নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সাম্প্রতিক বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় পুরো অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। হামলার প্রতিবাদে কাশ্মীরজুড়ে সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে গণপরিবহন ব্যবস্থাতেও, যার ফলে জনজীবনে ভোগান্তি বেড়েছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, পহেলগামের এই ভয়াবহ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। হামলার তদন্তে ইতোমধ্যে ভারতীয় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) মাঠে নেমেছে। সংস্থাটির একটি টিম শ্রীনগরে পৌঁছেছে এবং আরও কয়েকটি টিম সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরিকল্পনা করছেন।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়েবার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সংগঠনকে দায়ী করছে। ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ জানিয়েছে, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের একটি গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেছে, যাকে লস্কর-ই-তৈয়েবার ছায়া সংগঠন বলে দাবি করছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এবং দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্স’ নামের একটি কম পরিচিত স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী এই হামলার দায় নিয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, কাশ্মীরে ৮৫ হাজারের বেশি বহিরাগত বসতি স্থাপন করায় জনসংখ্যার গঠন পরিবর্তিত হচ্ছে, যা এই হামলার প্রধান কারণ বলে তারা দাবি করেছে। তবে এই দাবি কতটা সত্য তা যাচাই করা যায়নি।
কাশ্মীরে এই হামলার পরবর্তী প্রতিক্রিয়া এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। অঞ্চলটিতে বর্তমানে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার আভাস মিলছে।