একজন লেখক, শিক্ষা অনুরাগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী, কর্ণপুর গ্রাজুয়েট ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা, শ্রীপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন আকন্দ’র অকাল মৃত্যু! তে সর্বত্রই শোকের মাতম তাই’ত কবির ভাষায় বলি যেতে নাহি দিব! হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।”- এই চরণ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ আজ, যখন আমাদের সাথে ছিলেন, তখন প্রতিটি মুহূর্ত ছিল একটি শিক্ষা।
আপনার শুধু পাঠ্যবইয়ের বিষয়েই নয়, জীবনের বড় পাঠগুলোও আমাদের শিখিয়েছেন! দিয়েছিলেন জ্ঞানের মর্শাল আলোর দিশা! আজ পবিত্র আত্মার পরলোক গমন! এ যেন এক স্তব্ধ নীরবতা চতুর্দিকে শোকের মাতম আকাশ বাতাস বাড়ি হয়ে উঠেছে এই পবিত্র আত্মার চলে যাওয়াতে, আপনি শুধু একজন শিক্ষকই ছিলেন না! ছিলেন এই অঞ্চলের শিক্ষা অনুরাগী সুশিক্ষিতের সমাজ গড়ার কারিগর। আমাদের কীভাবে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হয়, কীভাবে একে অপরের কষ্টে পাশে দাঁড়াতে হয়, কীভাবে জীবনের যাত্রায় সুখ-দুঃখের সঙ্গী হতে হয়—এই সমস্ত মূল্যবান পাঠ আপনি-ই আমাদের দিয়ে ছিলেন।
হাজার হাজার মানবকে মূল্যবোধ শিখানোর কারিগর আপনি! আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোন উছিলায় কোন একটি আদর্শিক মানব গড়ার কারিগর হিসেবে রাব্বুল আলামীন আপনাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান জান্নাতুল মাকাম দান করে চির অম্লান করে রাখুক এ ভুবনে, তাই’তো বলি ‘এমন জীবন করিও গঠন মরিলেও হাসিবে কাঁদিবে ভুবন! আপনার চলে যাওয়াতে আমাদের মনে দারুণ একটি শূন্যতা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু আমরা জানি, এই বিদায় এখনো মেনে নেওয়ার সম্ভব নয়! তবু বাস্তবতা নিরিখে মেনে নিতে হবে এটাই বাস্তবতা! আপনার আদর্শ- আদর্শিক শেখানো পথ যা আমাদেরকে আরও অনুপ্রাণিত করবে। আপনি যে পথে চলছেন, সেই পথের আলো আমরা অনুভব করব, এবং আশা করি, একদিন আমরা আপনার সাফল্যের গল্প আমাদের পরবর্তী প্রজন্মে কে ও শোনাব।
পরিশেষে বলতে চাই যেখানে-ই থাকুন, সেখানে আপনার সম্মান, পরম সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে স্বর্গের দক্ষিণা বাতাসে আপনার হৃদয় উদ্বেলিত হতে থাকুক সেই কামনা মহান রব আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে।
মু. আমিনুল ইসলাম তারিকুল
সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লেখক ও কলামিস্ট শ্রীপুর গাজীপুর।