আদিব হাসান প্রান্ত, সিকৃবি প্রতিনিধি
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে বাস চলছে দুটি । দুটি বাস টোটাল চারটি টিপ দিচ্ছে প্রতিদিন , সিলেট নগরীর এক পাশে বাস গেলেও অন্য পাশে যাচ্ছে না, কোনো নোটিশ ছাড়াই বন্ধ হচ্ছে বাস, যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে অবস্থান করছে শিক্ষার্থীরা।
সিকৃবির নিজস্ব ওয়েব সাইটের তথ্য মতে তিন হাজারেও অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। পড়াশোনা শেষ এমনও অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। দুমাস আগে নতুন ব্যাচ এসেছে। সবমিলিয়ে চার হাজারের মতো শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র বাস সংখ্যা দুইটি তাও আবার শুধু শহরের একপাশে দিয়ে টিপ দিচ্ছে মোট চারটি। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনেক বার ভোগান্তির কথা বলছে এবং বাস সংকটের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
শিক্ষার্থীরা বলছে ক্লাস শেষে যখন দৌড়ে বাস ধরতে যাই তখন দেখি বাসে দাড়িয়ে থাকারও জায়গা নেই কোথাও। মাঝে মাঝে রিস্ক নিয়ে ঝুলে ঝুলে যেতে হয়। হুটহাট করে শুনি আজ বাস যাচ্ছে না। নতুন একটি বাস দিয়েছিল কিন্তু এটা আবার চলছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যাচ্ছে সিঙ্গেল বাস টিপ, বাস সংকট, ড্রাইবার সংকট এর ফলে ছাত্রীরাও দাড়িয়ে যেতে হচ্ছে। অনেকে ঝুলে ঝুলে যাচ্ছে জীবনের রিস্ক নিয়ে। অনেক সংখ্যক শিক্ষার্থী পুনরায় হলে ফেরত যাচ্ছে । দেখা যাচ্ছে বিকাল ৪ টা ৩০ এবং ৫ টা ১০ এ দুটি বাস ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে নগরীর একপাশ টিলাগড়, শিবগঞ্জ, শাহী ঈদগাহ হয়ে চৌহাট্টা পয়েন্টে যাচ্ছে। নগরীর আরেকপাশ মেজরটিলা, শাহপরান, বটেশ্বরের দিকে কোনো বাস যাচ্ছে না।
এবিষয়ে সিকৃবি ডিভিএম অনুষদের ছাত্রনেতা তুহিন বলেন এমনিতেই সিকৃবিতে ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় বাস সংখ্যা অপ্রতুল এবং বাসের রুট নিয়েও আছে বিড়ম্বনা। আমাদের ক্যাম্পাস কিছুটা শহরের বাহিরে হওয়ায় টিউশন বা অন্যান্য কাজের জন্য সবাইকেই কম বেশি বাসের ওপর নির্ভর করতে হয় যাতায়াতের জন্য। তার ওপর সিলেটে হোম টিউটরদের যে অবমূল্যায়ন এবং সি এন জি চালকদের যে দৌড়াত্য তাতে করে নিজের পকেটের ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করে একজন শিক্ষার্থীকে টিউশন করিয়ে মাস শেষে কষ্ট করে খরচ চালাতে হয় । তাই শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে খুব দ্রুতই প্রশাসন যথাপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এই প্রত্যাশা রাখি।
কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ছাত্র ফাহাদ ভূইয়া বলেন আমাদের ক্যাম্পাসে বাসের সংখ্যা খুবই কম মাত্র দুটি বাস প্রতিদিন চলাচল করছে।বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাসে জায়গা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যায়. কেউ জীবনের ঝুকি নিয়ে ঝুলে ঝুলে যায় । বিশেষ করে মেয়েরা বাসে দাঁড়িয়ে যায় যা খুব ই দৃষ্টিকটু! মেয়েদের জন্য অন্তত ১টি আলাদা বাস এর ব্যবস্থার উদ্যোগ নিতে হবে।
আমরা অনেকবার স্যার দের সাথে কথা বললে ও ফলাফল শূন্য! আশাকরি খুব দ্রুত সময় এর মধ্যে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ড্রাইভার এর সংকট নিরসন করতে প্রসাশন উদ্যোগ নিবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিকৃবি পরিবহন শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুল হক বলেন
আমাদের বাজেট দিন দিন ছোট হয় আসছে সেই সাথে আমাদের ক্যাম্পাসে ভারী গাড়ির ড্রাইভার সংকট।
নতুন করে বাস ও বাস টিপ বাড়াতে হলে প্রশাসন বরাবর শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে। এবং নতুন রুডে বাস চলাচল করতে হলেও শিক্ষার্থীদের কতৃপক্ষ বরাবর আবেদন করতে হবে।
তিনি বলেন ছাত্রীদের সুবিধায় আদালা বাস দেওয়ার বিষয়ে প্রশাসন এখই ভাবছে না তবে ভবিষ্যতে বাজেট সাপেক্ষে বিবেচনা করবে।
তিনি আরও বলেন ভবিষ্যতে বাস হুটহাট বন্ধ হবে না কোনো কারণে বন্ধ থাকিলেও নোটিশ আকারে জানানো হবে। এবং ড্রাইবার সংকটের জন্য ৪ টা ৪৫ এর বাসটি বন্ধ ছিল। আগামী রবিবার থেকে ৪.৪৫ এ ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসটি নিয়মিত চলবে।