মোঃ নাঈম ইসলাম, নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে পৈত্রিক ভিটায় নিজ অংশের জায়গায় গাছ কাটতে বাধা, মারধর ও বাড়িতে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করার ঘটনায় আলহাজ্ব মো. আব্দুর রহমান ও তার দুই ছেলে মকসেদ এবং মাসুদকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মোজাম্মেল হক। অভিযুক্তরা উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের তেলটুপি গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এসব অভিযোগ তুলে তার নিজ বাড়িতে প্রবেশের রাস্তার দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক। মোজাম্মেল হক উপজেলার মকিমপুর গ্রামের মৃত বাহাদুর মন্ডলের ছেলে।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন- বিবাদী আলহাজ্ব মো. আব্দুর রহমান তার দুলভাই হন। মোজাম্মেল ও তার বোন নুরজাহান তাদের মায়ের সম্পত্তির ভাগ পেয়েছিলেন। তার বোনের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সে সময় তাদের মায়ের জমির যে ভাগ পেয়েছিলেন সেই জায়গায় বোন নুরজাহানকে বাড়ি করার জন্য দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে সম্পর্কের খাতিরে বোনকে রাস্তার সাথে জমি দেন এবং বোনের অংশের পিছনে মোজাম্মেল হক জমি নেন। তাদের মধ্যে কথা হয় যে, বোন রাস্তার সাথে জমি নিলে সেই জায়গার উপর দিয়ে মোজাম্মেল হককে যাতায়াতের জন্য রাস্তা দিবে। সেই শর্তে বোনকে রাস্তার সাথে জমি দেন তিনি।
তবে বিপত্তি ঘটে বর্তমান সময়ে এসে। তার বোন জামাইয়ের সাথে সম্পর্কের অবনতি হলে আব্দুর রহমান তাদের জমির উপর দিয়ে মোজ্জাম্মেল হককে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেন। এঘটনার জের ধরে গত সোমবার তার জায়গার উপর থাকা মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করতে গেলে আব্দুর রহমান তার দুই ছেলে নিয়ে মোজাম্মেল হককে বাধা নিষেধ দেন। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা তিনজন মিলে মোজাম্মেল হকের উপর হামলা চালায়। এসময় এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে তারা মোজাম্মেল হককে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যান। সেই সাথে তার বাড়ির উপর দিয়ে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেন।
ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক বলেন- তাদের ভাই-বোনের কথার মাধ্যমে রাস্তা দেওয়ার শর্তে বোনকে রাস্তার সাথে জায়গা দেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে তার দুলাভাই আব্দুর রহমান তাকে মারধরসহ বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাস্তার দাবীসহ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মকছেদ আলী বলেন- আমার মামা মোজাম্মেল হক আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন। মামার ওই জায়গা মুলত আমাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। তাই ওই জায়গার গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে মাত্র।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন- এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।