ইমতিয়াজ উদ্দিন, জবি প্রতিনিধি:
দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজনে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম পত্রিকা উৎসব ‘নিউজপেপার অলিম্পিয়াড সিজন-৪ ঢাকা সিলেকশন রাউন্ড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার কাওরান বাজারে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারের ৩য় তলায় এই রাউন্ডটি অনুষ্ঠিত হয়।
অলিম্পিয়াডটির সভাপতি ছিলেন মোহা: আহসানুল মাহবুব লাব্বি (ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী)। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ জনের চেয়ে বেশি শিক্ষার্থী এই অলিম্পিয়াডে ভলন্টিয়ারের দায়িত্ব পালন করেন।
ভলন্টিয়ারদের মধ্যে ছিলেন আল-শাহরিয়ার(ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), মুশফিক এনাম তুর্য (ইন্টিপিন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি), আবির হাসান (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), মোহা: ইমন আহমেদ (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), রনি(জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়), রুবেবা, সিনথিয়া, সাইলা।
গত বুধবারে (২৩ এপ্রিল) অফিসিয়াল পেইজে প্রকাশিত নোটিশ থেকে জানা যায়, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদেরকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়। A (Class 3 to 5), B (Class 6 to 8), C ( Class 9 to 10), D ( Class 11 to 12), E (University)। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে অলিম্পিয়াডের কার্যক্রম আরম্ভ হয়ে সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে শেষ হয়। পরীক্ষা শেষে অংশগ্রহণকারীদেরকে পার্টিসিপেশন সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
পরীক্ষার শুরুতে নিউজপেপার অলিম্পিয়াডের সভাপতি মাহবুব লাব্বি পরীক্ষার নিয়মাবলি বর্ণনা করেন।
ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে ভলন্টিয়ার মুশফিক এনাম তুর্য পরীক্ষার শুরুতে তাঁর স্বাগত বক্তব্যে জানান, “আপনারা সবাই এখানে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। হয়তো অনেক পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর আমরা করতে পারি, অনেক প্রশ্নের উত্তর আমরা পারি না। অনেক সময় হয়তো আমরা সাকসেসফুল হই, অনেক সময় সাকসেসফুল হই না।
কিন্তু পরীক্ষা দেওয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
পরীক্ষায় ভালো করার জন্য চেষ্টা করাটা গুরুত্বপূর্ণ।”
সভাপতি মাহবুব লাব্বি জানান, “পরীক্ষার প্রশ্ন খুব বেশি কঠিন হবে না। বরং যারা নিয়মিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সংবাদ পড়বে তারা খুব সহজেই উত্তর করতে পারবে। কেননা প্রশ্ন সব জাতীয় দৈনিক পত্রিকা থেকেই এসেছে।”
পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের অনুভূতি জিজ্ঞাসা করা হলে শিক্ষার্থীদের একাংশ জানান, প্রশ্ন স্ট্যান্ডার্ড লেভেলের হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে E ক্যাটাহরির (বিশ্ববিদ্যালয়) একজন শিক্ষার্থী জানান, প্রশ্ন পূবর্বর্তী প্রশ্নব্যাংক থেকে কমন এসেছে। কিন্তু আমি ঠিকমতো পড়িনি বলে অনেক সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি।
উল্লেখ্য, ঢাকা রাউন্ড সিলেকশনটিতে ১০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এবং চার শিফটে পরীক্ষা নেয়া হয়। ১ সপ্তাহ পরে ফলাফল প্রকাশিত হবে বলে সভাপতির বক্তব্য থেকে জানা যায়।